নবীগঞ্জে তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ, হিমেল হাওয়ায় বিপর্যন্ত জনজীবন

পুরানো গরম কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভীড় কদর!

উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ চলতি সপ্তাহ ধরে নবীগঞ্জে বিরাজ করছে প্রবল শৈত্য প্রবাহ। দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। তীব্র শীতে জন জীবন বিপর্যস্ত। জরুরী ভিত্তিতে সরকারী- বেসরকারী ভাবে শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে নবীগঞ্জ উপজেলার হত দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। নবীগঞ্জে মাঝেমধ্যে শৈত প্রবাহ, হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কবলে পড়ে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন থেকে উপজেলায় ঘন কুয়াশায় অনেক সময় পথ-প্রান্তর, রাস্তা-ঘাট ঢাকা পড়ে থাকছে। শিশু-কিশোরসহ ছিন্নমূল মানুষের জীবন শীতে যুবুথুবু হয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শীত জনিত রোগের প্রাদূর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফলে শীতের দাপটে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। সাথে সাথে কর্মহীন হয়ে পড়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো ।
প্রচন্ড শীত সহ্য করতে না পেরে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের জনগণ পৌর শহরের ওসমানী রোডের মুক্তিযোদ্বা মার্কেটের পাশে, নতুন বাজার মোড়ে, জে.কে মডেল হাই স্কুল রোড ও শেরপুর রোডে মা হোটেলের নিকটে পুরাতন কাপড়পট্টি বাজারেও রাস্তার দু’পার্শ্বে র্ফুটপাতের দোকান থেকে নতুন ও পুরাতন কম্বল, সোয়েটার, জ্যাকেট, শিশুদের বিভিন্ন শীতবস্ত্র ক্রয় করে শীত নিবারণের জন্য দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। অপরদিকে পৌর শহরের নামী-দামি তৈরী পোশাকের দোকানগুলোতে বিত্তবান লোকদের শীত বস্ত্র ক্রয় করতে দেখা যায় এবং লেপ তৈরীর দোকান গুলোতে প্রচন্ড ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের গত ২/৩ দিন ধরে প্রচন্ড শীতে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য কাজের সন্ধানে বের হলেও কোথাও তাদের জন্য কাজ মিলছে না। আর প্রচন্ড শীতের তীব্রতার কারনে কৃষকরা কাজ করার জন্য ঘর থেকে মোটেও বের হতে পারছেন না। অগ্রহায়ন মাস শেষ হতে না হতেই এমন শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আগামী পৌষ মাসের শুরুতে শীতের তীব্রতা যে হবে তা নিয়ে সাধারন মানুষ রয়েছেন দুশ্চচিন্তায়। বর্তমান সময়ে পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ শুরুর কারনে নবীগঞ্জ উপজেলাসহ হবিগঞ্জ জেলার অন্যান্য উপজেলার খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষের জীবন যাত্রা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। দরিদ্র অভাবী পথ শিশু, বৃদ্ধ লোকজন শীত বস্ত্রের অভাবে অতি কষ্টে দিনযাপন করছে। গরম কাপড়ের অভাবে দুঃস্থ ও ছিন্নমূল মানুষ ঘর ছেড়ে বাহিরে কোথাও যেতে পারছেন না। নিন্ম আয়ের লোকজন ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে দিনতিপাত করছেন। দরিদ্র ও ছিন্নমুল এসব মানুষগুলো একটু গরম কাপড়ের আশায় সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের দিকে চেয়ে দিন অতিবাহিত করছেন।
অসহায় গরীব- দুস্থ, ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় সরকারী ভাবে কোন শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। হতদরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে শীতের কবল থেকে রক্ষা করতে সরকারী বা বেসরকারী ভাবে বিভিন্ন এনজিও এবং বিত্তবাণ ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সচেতন মহল