ইতালির মিলানে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিক বিজয়ফুল সেমিনার অনুষ্ঠিত
নাজমুল হোসেন,মিলান ইতালি থেকেঃ ইতালির মিলানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতীক বিজয়ফুল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও সকল মুক্তিযুদ্ধাদের স্মরণে নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। অনুষ্ঠানে আগত এই প্রজন্মের সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধাদের এবং একে অপরকে বিজয় ফুল পরিয়ে দেওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১২ টায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে বিজয়ফুল কর্মসূচির সদস্য নাজমুল হোসেনের সঞ্চালনে সেমিনারে এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এর উপর গুরুত্ব আলোচনার জন্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা সিরাজুল ইসলাম গাফফার,জাকির হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সদস্য মান্নান মালিতা।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতীক বিজয়ফুল। ডিসেম্বর এর ১ তারিখ থেকে ১৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেদের গায়ে এ ফুল পরিয়ে দিচ্ছেন একে অপরকে। ইউরোপের বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠন গুলো মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের এই প্রতীক বিজয়ফুল কে কেন্দ্র করে চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কার্যক্রম। কার্যক্রমের মাধ্যমে কাগজের তৈরি এ সহজ অনাড়ম্বর ফুলটি গেয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহাসিক একাত্তরের বিজয়ের স্মৃতি।
সেমিনারে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন প্রবাসে স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ আলম,প্রফেসর মো জামাল,শাফায়েত হোসেন,সাখাওয়াত হোসেন লিমন,সাংবাদিক পারভেজ আহমেদ,এ কে রুহুল সান,আল আমিন হোসাইন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহরুন্নেছা লাকি,মো সালাউদ্দিন,সেলিম হোসাইন,ইকবাল হোসেন,ক্লারা ইসলাম জেসিকা,বিথী প্রমুখ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জীবন উত্সর্গকারীদের স্মরণে ব্রিটেনে চালু থাকা পপি ফুল পরার চল দেখে এই ‘বিজয়ফুল’ চালু করার ধারণা মূলত ব্রিটেন প্রবাসী কবি শামীম আজাদের। এই থেকে তার মনে হয় একাত্তরের ডিসেম্বরের সেই বিস্ময়কর সময়েই তো ফুটেছিল বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দর ফুল। পতাকার ঘন সবুজে যে রক্তিম সূর্য উঠেছিল, তারই রূপকল্পেই তো হতে পারে আমাদের ‘বিজয়ফুল’।
১৯৯৮ সালে প্রথম তিনি ‘বিজয়ফুল’ প্রচার শুরু। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিশু-কিশোররা উত্সাহ-উদ্দীপনা নিয়ে বিজয়ফুল তৈরি ও বিতরণের কাজ করছে।বিজয়ফুলের বর্তমান প্রধান লক্ষ্য মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করা
বিজয়ফুল এখন সবার। বিশেষত বহির্বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে বিজয়ফুল হয়ে উঠছে মুক্তিযুদ্ধের একটি অনন্য স্মারক।একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে শিশু-কিশোরদের নিয়ে বিজয়ফুল তৈরি করুন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করুন, ‘বিজয়ফুল’ পরুন এবং অন্যকেও পরান।