ওসমানীনগর বিএপির সম্মেলন ইলিয়াসপত্নী লুনা কাঁদলেন, কাঁদালেন
ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ ওসমানীনগর উপজেলা বিএপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের জনসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এম.ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহমিনা রুশদীর লুনা প্রধান অতিথিতির বক্তব্যের সময় নিজে কাঁদলেন, সবাইকে কাঁদালেন। এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর এই অঞ্চলে প্রথম ইলিয়াস পত্নী লুনা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন নিয়ে যে আনন্দ থাকার কথা ছিল তা নেই, আমাদের সেই আনন্দ কেড়ে নিয়েছে গুম নামক অদৃশ্য এক কারাগার। আপনাদের প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ তাই সবার দুঃখ ভারাক্রান্ত মন। আজ এখানে আমি নয় ইলিয়াস আলী আসার কথা ছিল। কিন্তু তা হলো না নিয়তির পরিহাসে। লুনা বলেন, আমি নেতা হতে আসিনি আমি এসেছি আপনাদের সাথে নিয়ে এ জনপদের প্রিয় নেতা এম.ইলিয়াস আলীর সন্ধান করতে। আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম তিনি আমার স্বামী এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ দু’বছর গড়িয়ে তিনে পড়লেও তিনি তার কথা রাখেননি। আমি ঘুরতে ঘুরতে আপনাদের কাছে এসেছি! জনতার নেতা এম ইলিয়াস আলীকে জনতাই ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
গতকাল শনিবার ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি কতৃক আয়োজিত উপজেলার দয়ামীর বাজার সংলগ্ন মাঠে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন পূর্ব জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলন পূর্ব জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চেরাগ আলী। বিএনপি নেতা আনহার মিয়ার পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এম নুরুল হক, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দাল মিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী, মহিলা সম্পাদিকা সালেয়া কবির পপি, ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোতাহির আলী, সাবেক সাধারন সম্পাদক তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএপির যুগ্ম আহবায়ক দিলদার হোসেন সেলিম, এড: আং গফ্ফার, এড: আং রাজ্জাক, আবুল খায়ের শামীম, এড: শামসুজ্জামান জামান, কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি আং আহাদ খান জামাল, সিদ্দিকুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরীসহ জেলা ও ওসমানীনগর উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে জাতীয় ও দলীয় সঙ্গিত পরিবেশন করা হয়। এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন।
কেউ স্মরণ করেনি বঙ্গবীর ওসমানীকে ঃ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর এম এজি ওসমানীর পিতৃভূমি দয়ামীরে বিএনপির সন্মেলন পূর্বক সভায় ওসমানীকে স্মরন করেননি ওসমানীনগরের বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ইলিয়াস পত্নী তাহমিনা রুশদির লুনা ও এড: নুরুল হক ব্যাতিত বিজয়ের মাসে ওসমানী মিউজিয়ামের সামনের মাঠে সমাবেশে ওসমানীনগর বিএনপির নেতারা কেউ শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেননি বঙ্গবীর ওসমানীকে। এটা কি ওসমানীর প্রাপ্র ছিলনা এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে! সভায় আসা অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে এ ব্যাপারে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানান।
ইলিয়াস পুত্র আবরাব ইলিয়াসের বক্তব্যঃ ইলিয়াস পুত্র আবরাব ইলিয়াস কান্না জড়িত কন্ঠে সকলের কাছে তার পিতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবি জানান।
সন্মেলনের নির্বাচনের ফলাফলঃ ওসমানীনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের গোপন ভোটের মাধ্যমে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সভাপতি ও উসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোতাহির আলী, সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন গোয়ালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ মোঃ এহিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনারের দ্বায়িত্ব পালন করেন ইলিয়াস পতিœ তাহমিনা রুশদির লুনা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক এড: এম নুরুল হকসহ জেলার নেতৃবৃন্দ।