মৌসুম শুরুতেই চাপতির হাওরে পানি সংকট
জুবের সরদার দিগন্ত, দিরাই-শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ কৃষি নির্ভর এলাকা দিরাই-শাল্লায় দেখা দিয়েছে প্রচন্ড পানি সংকট, চাপতির হাওরের কিছু অংশে দেখা গেছে এলাকাবাসী নিজেরদের অর্থায়নে নদী থেকে বিলে পানি মওযুদ করছেন। এমন একটি চিত্র দেখা গেছে দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের একটি হাওরে। হাতারাই নামক একটি বিলের পানি নির্ভর শতশত একর জমি অনাবাদি থাকার আশংঙ্খা করছেন হাতারাই বিল পাড়ের কৃষকরা। কৃষি প্রধান এই এলাকার কৃষকদের সারা বছরের জীবন ধারণ নির্ভর করে বোরো জমির ধানের উপর। তারা মুলত ছয় মাস ধান চাষ করে বছরের বাকিটা সময় পার করেন বেকার। ফসল বিক্রি করে জীবন ধারণ করেন বছরের বাকি সময়টুকু। এসময় যদি জমিতে ফসল ফলাতে না পারেন তাহলে হয়তো এ এলাকার অনেক কৃষক পরিবারকে অনাহারে-অর্ধাহারে কাটাতে হতে পারে একটি বছর। এছাড়াও গ্রামের মহাজনদের করাসুদে জরিয়ে পরতে পারেন গ্রামের সহজ-সরল কৃষকরা। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে হাতারাই বিল পাড়ের গোবিন্দপুর, হলিমপুর, ধীতপুরের কৃষকরা তাদের নিজেদের টাকা খরচ করে ১৫টি পানির পাম্প বসিয়ে নদী থেকে বিলে পানি মওযুদ করছেন। গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক রুবেল সরদার ও শমীর তালুকদার বলেন, বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়াতে জমিতে হাল-চাষ করা যাচ্ছেনা, পানি না থাকলে কষ্ট করে হাল দিয়েও লাভ নেই, পানি না থাকলে চারা লাগানো যাবে না, চারা লাগানোর পর পানি না থাকলে সেই চারা মারা যাবে, এতে করে আমাদের ক্ষতির পরিমান দ্বীগুন হয়ে যাবে। তাই আমার সবাই মিলে কষ্টের ও খরচের পরিমান বেশি করেও জমিতে ফসল ফলাতে বাধ্য, কারন আমাদের এলাকা এক ফসলী। বোরো ধান চাষ না করলে বছরের খাবার যোগানো যাবে না। পরিবারের বছরের খাবার সংগ্রহ করতে এবার আমাদের দ্বীগুন পরিশ্রম ও খরচ করতে হচ্ছে। আমরা কয়েক গ্রামের কৃষক মিলে জমির পরিমান অনুযায়ী টাকা চাঁদাতুলে নদী থেকে বিলে পানি সংগ্রহ করছি।