যাঁদুকাটা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন ও নদীভাঙ্গন প্রতিরোধে মানববন্ধন
প্রশাসনের উদ্দোগ নেই
কামাল হোসেন,তাহিরপুরঃ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের বাগগাঁও-সিরাজপুর মিছাখালীর ঢালার অংশ থেকে ড্রেজার মেসিন ও শ্রমিক লাগিয়ে এলাকার এক শ্রেনীর বালু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিদেও র্কতৃক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও নদী ভাঙ্গা প্রতিরোধে নদীর তীরে গতকাল বুধবার এক মানববন্ধন র্কমসুচি পালন করেছে ওই এলাকার র্সবস্তরের লোকজন ও এলাকাবাসী । জানাযায়, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের বন্যা অবদী অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে যাদুকাটা নদী পাড়ের গ্রাম গুলো ভাঙ্গন শিকার হচ্ছেন বাগগাঁও গ্রামসহ প্রায় ৪/৫ টি গ্রাম। তাদের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের দ্বারা অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ নিয়ে বার বার প্রশাসনের দারস্থ হয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।যারফলে দিনদিন নদী ভাঙ্গনের কারনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পরিবার ও গ্রামবাসীদের উদ্যোগে গতকাল বুধবার বিকালে পুরান যাদুকাটা নদীর তীরে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এনজিও প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করনের দাবীতে ও নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করার জন্য গণ স্বাক্ষর সম্বলীত একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত করা হয়। পরে গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘ্যদিন যাবত পুরান যাঁদুকাটা নদীর পার থেকে প্রভাবশালী কিছু লোকেরা প্রতিদিন বালি উত্তোলন করছে। গ্রামবাসীরা বাধা দেওয়া সত্বেও বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। বাগগাঁও গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের মূল বাড়ীর সীমানা থেকে অনেকাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট সমস্যাএর প্রকৃত কারন। অনিয়মতান্ত্রিক ও অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ প্রশাসনের নিকট বার বার করেও এ উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না ফলে নদী নিকটবর্তী বাড়ী-ঘর হুমকির সম্মূখীন।একই গ্রামের কামরুল ইসলাম, জানান অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে এতে পাহাড়ী ঢলের সময় বা পানির স্্েরাতের সামনে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে না,তাই বসতবাড়ী,মসজিদ-মন্দির ভাঙ্গনে হারিয়ে গেছে এবং ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে নিরীহ গ্রামবাসী এমনকি প্রশাসনকে বার বার অবগত করলেও অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরোদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে তাদের আভিযোগ। একে একে অনেকেই অভিযোগ করেন নানান অনিয়মের কথা। বদরুজ্জামান সহ গ্রামের স্থায়ী বসবাসকারী মহিলাগন জানান- এ পর্যন্ত পাহাড়ীয়া ঢলে ও বালি উত্তোলনের কারনে ২শতাধিক ঘর-বাড়ী ও চাষাবাদযোগ্য জমি বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে অবৈধ বালি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে পুরোগ্রামই একদিন বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন গ্রামবাসী। ওই গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক সোহেল আহমদ সাজু বলেন, কয়েকবছর পূর্বে বাদাঘাট(দঃ) ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমানের বাড়ী সহ অন্যান্য কয়েকটি বাড়ী চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। জানা যায়, ঢালার পাড় থেকে সিরাজপুর পূর্ব পাড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কি.মি. পর্যন্ত নদী ভাঙ্গনের ফলে ২শতাধিক ঘরবাড়ী ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রাম বাসীর একই কথা যে, ‘ঘর-বাড়ী রক্ষা কর, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ কর ’ – এ স্লোগানে গ্রামবাসীরা তৎপর রয়েছে। বিধায়, আজকের মানববন্ধন শেষে গণ স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি প্রশাসনের নিকট পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।