বিশ্বনাথে দু-পক্ষের সংর্ঘষ : আহত ১৮

বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ বিশ্বনাথে অটোরিকশা শ্রমিকদের দু-পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষে অনন্ত ১৮ জন আহত হয়েছেন। গত সোমবার রাতে ও গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বৈরাগীবাজারে শ্রমিক নেতা আবদুল খালিক-সুহেল মিয়া ও রফিজ আলী-আনোয়ার মিয়ার লোকজনের মধ্যে এঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ৭জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন-আখলিছ আলী, আবদুল লতিফ, ওয়ারিছ আলী, সায়েদুর রহমান, রুবেল আহমদ, জুয়েল মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সুহেল মিয়া, সামদ মিয়া, সুরুজ আলী, কামরুজ্জামান, আবদুর রহিম, শিশু মিয়া, সেবুল মিয়া, মবশ্বির মিয়া, বৈরাগীবাজার বণিক সমিতির সভাপতি তেরাব আলী, ব্যবসায়ী রুহুল আমিন,আবদুল মতলিব।
জানাগেছে, অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠন ২০৯৭ উপজেলার বৈরাগী-বাংলাবাজার শাখার কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক নেতা খালিক-সুহেল মিয়া ও রফিজ আলী-আনোয়ার মিয়ার লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে প্রথমে সোমবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাটির এক পর্যায়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়েন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বৈরাগীবাজারের এর জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শ্রমিক নেতা,ব্যবসায়ীসহ ১৮জন আহত হন।
এব্যাপারে শ্রমিক নেতা সুহেল আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈরাগীবাজার শাখার অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটিতে রফিজ-আনেয়ার রয়েছেন। তবে ওই কমিটির মেয়াদ অনেক আগে শেষ হয়ে যায়। নতুন কমিটি গঠন করার জন্য বলা হলে তারা টালবাহানা করে আসছে। সোমবার রাতে কমিটি হিসাব জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। মঙ্গলবার সকালে বাজারে ওষুধ ক্রয় করতে এলে তারা পূর্ণরায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
রফিজ আলী বলেন, জোরপূর্বক তারা কমিটি গঠন করতে চায়। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. রফিকুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।