ধর্ষিতা বিশ্বভারতীর সেই ছাত্রী কলকাতা ছাড়ছেন!

rape protestসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে ধর্ষিতা বাংলাদেশি ছাত্রী শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসছেন। পুলিশের কাছে ঐ ছাত্রী অভিযোগ করেন, বিশ্বভারতীতেই অধ্যয়নরত বাংলাদেশী একজন গবেষক তাকে ধর্ষণ করেছে।
শুক্রবার তাঁর বাবা বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছুলে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের অধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ঐ ছাত্রী। পুলিশের কাছে অভিযোগে ঐ ছাত্রী বলেছেন শ্রীনিকেতনে সোশ্যাল ওয়ার্ক বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে গবেষণায় রত একজন বাংলাদেশী তার আপত্তিকর ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন।
এভাবে ব্ল্যাকমেল করে ওই ছাত্রীকে একাধিকার ধর্ষণ করেন ঐ গবেষক। অভিযুক্ত ঐ গবেষক ছাত্রীটির পূর্ব পরিচিত শুধু নয়, তাকে মেয়ের ‘স্থানীয় অভিভাবক’ করেছিলেন অভিযোগকারির বাবা।
পুলিশ তাকে আটক করেছে।
অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করেছেন। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। পুলিশ তার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ প্রভৃতি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শান্তিনিকেতন যে মহকুমার অধীন, সেই বোলপুরের মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা সূর্যপ্রতাপ যাদব জানিয়েছেন, আজই (রোববার) বাবার সঙ্গে বিশ্বভারতীর ছাত্রী নিবাস ছেড়ে দিচ্ছে দ্বাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী।
সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার গোপন জবানবন্দী দেওয়ার কথা রয়েছে। আর তার পরেই বাবার সঙ্গে নিজের দেশে ফিরে যাবেন ওই ছাত্রী।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করে নি। রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও ছাত্রীরা যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পড়তে আসা এক ছাত্রীও তার ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। সেই মেয়েটিও বিশ্বভারতী ছেড়ে চলে গেছে। এছাড়া কয়েকবছর আগে মেয়েদের হস্টেলে ঢুকে এক ছাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে এক যুবক।