বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

Washington_USA_Armed_Forces_Day_ইউএসএনিউজ অনলাইন, ওয়াশিংটন ডিসি: যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ২১ নভেম্বর ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়। ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ¦ল স¦াধীনতা সংগ্রামে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমন পরিচালনা করে। এ দিনটির স¥রণে প্রতিবছর বাংলাদেশ সশ¯ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম¥দ জিয়াউদ্দিন এবং প্রতিরক্ষা এ্যাটাচী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম¥দ সামসুজ্জামান, এওডব্লিউসি, পিএসসি, আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স¦াগত বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম¥দ জিয়াউদ্দিন তাঁর স¦াগত বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ বাংলাদেশের স¦াধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সদ্য স¦াধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশে একটি আধুনিক সশ¯ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে অবি¯মরণীয় অবদানের জন্য তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে ¯মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশ¯ত্র বাহিনী প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামোগত উনèয়ন এবং কম্পিউটারাইজড জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরীতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন বাংলাদেশ সশ¯ত্র বাহিনীর সদস্যগণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বহুলাংশে উজ্জ¦ল করেছে।
প্রতিরক্ষা এ্যাটাচী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম¥দ সামসুজ্জামান, এওডব্লিউসি, পিএসসি সশস্ত্র বাহিনী সৃষ্টির শুরু থেকে এ বাহিনীর ভূমিকা সর্ম্পকে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি জাতি গঠনে এবং বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ সশ¯ত্র বাহিনীর উজ্জ¦ল ভূমিকা সর্ম্পকে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত, প্রতিরক্ষা এ্যাটাচী, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও পেন্টাগনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, মিডিয়া প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ অনেক অতিথি উপস্থিত ছিলেন। মেজর জেনারেল এধৎৎু ঈ. উবধহ স্পেশাল এ্যাসিটেন্ট টু দ্য চীফ, ন্যাশনাল গার্ড ব্যূরো প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। প্রধান অতিথি প্রথমে বাংলাদেশের বীর শহীদদের সশ্রদ্ধচিত্তে স¥রণ করেন যাদের আত্মোউৎসর্গ ও সুমহান ত্যাগে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স¦াধীনতা। পরিশেষে তিনি বাংলাদেশ এবং ইউএসএ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে স¤পর্ক আরো জোরদার এবং ভবিষ্যতে একে অপরের সাথে সাহায্যে সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তি সম্প্রতি ও সমৃদ্ধিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার ব্যাপারে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সংবর্ধনায় প্রায় তিন শতাধিক অতিথি অংশগ্রহণ করেন। অতিথিদের এতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।