কানাইঘাটে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক নিহত
কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সোনাতনপুঞ্জি গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রবিবার রাতে মোক্তার আলী (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঐ দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের আরমান আলীর দুই স্ত্রী সুহাদা খাতুন (২৮) ও সুহাদা বেগম (২৫) কে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের ইরফান আলীর পুত্র আব্দুস শুকুর (৪২), মুজম্মিল আলীর পুত্র আরমান আলীর সাথে একই গ্রামের মশাহিদ আলীর পুত্র মোক্তার আলী (৩৫)’র পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে গত রবিবার সীমান্তবর্তী বাদশাহ বাজার থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়ী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে বাড়ির পাশেই পথরোধ করে একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে আব্দুস শুকুর ও আরমান আলীগংরা মোক্তার আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে আহতের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে পথিমধ্যে মোক্তার আলী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। খবর পেয়ে রাতেই কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পোস্টমর্টেমের জন্য সিলেট ওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে হামলার নেতৃত্বদানকারী আরমান আলীর দুই স্ত্রী সুহাদা খাতুন ও সুহাদা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গতকাল সোমবার হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেটের এডিশনাল পুলিশ সুপার নাঈমুল হাসান ও সহকারী পুলিশ সুপার উত্তর সার্কেল মহিউদ্দিন সোহেল। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই মহিলাসহ ১০ জনকে আসামী করে নিহত মোক্তার আলীর পিতা মশাহিদ আলী বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী জানিয়েছেন।