ছাতকে ১০সহস্রাধিক নলকূপে আর্সেনিক সরকারি হিসেবে ১২শ’
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতনিধিঃ ছাতকে সাড়ে ৯হাজার অগভীর নলকূপের মধ্যে প্রায় ১২শ’ নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক রয়েছে। এরমধ্যে শুধু পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ৩শ’ নলকূপে আর্সেনিক রয়েছে। এছাড়া উপজেলার ১৩ইউনিয়নের মধ্যে নোয়ারাই ইউনিয়নে আর্সেনিকের মাত্রা রয়েছে ২শতাধিক নলকূপে। ২০০১সালে সরকার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি যাচাইয়ে দেশব্যাপী এক জরিপ চালায়। জরিপে উপজেলাসহ পৌরসভায় সরকারি বরাদ্ধের প্রায় ১২শ’ অগভীর নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ধরা পড়ে। সরকারি বরাদ্ধের নলকূপ ছাড়া উপজেলার ৮৫হাজার পরিবারের মধ্যে অর্ধলক্ষাধিক মালিকানা নলকূপ থাকলেও আর্সেনিক রয়েছে প্রায় ১০সহস্রাধিক নলকূপে। কিন্তু দীর্ঘ ১যূগের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও সরকারিভাবে এসব নলকূপে আর্সেনিক যাচাইয়ের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে লোকজন আর্সেনিকোসিস রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জানা গেছে, ছাতক ইউনিয়নে ২৭৮নলকূপের মধ্যে ২৬৬টি চালু ও ১৪টিতে আর্সেনিক, ভাতগাঁও ইউনিয়নে ৯৪৫নলকূপের মধ্যে ৯০৯টি চালু ও ৫৩টিতে আর্সেনিক, দক্ষিণ খূরমা ইউনিয়নে ৪৯৭নলকূপের মধ্যে ৪৬০টি চালু ও ৩৮টিতে আর্সেনিক, চরমহল¬া ইউনিয়নে ৪৪৩নলকূপের মধ্যে ৪১৬টি চালু ও ৩৭টিতে আর্সেনিক, দোলারবাজার ইউনিয়নে ৭১৪নলকূপের মধ্যে ৬৭০টি চালু ও ২০টিতে আর্সেনিক, জাউয়াবাজার ইউনিয়নে ৫৬৪ নলকূপের মধ্যে ৫২৩টি চালু ও ৪২টিতে আর্সেনিক, কালারুকা ইউনিয়নে ৬৮২নলকূপের মধ্যে ৬৩৩টি চালু ও ৫৯টিতে আর্সেনিক, নোয়ারাই ইউনিয়নে ১০৩৬নলকূপের মধ্যে ৯৯৩টি চালু ও ২১৭টিতে আর্সেনিক, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে ৭৩৬ নলকূপের মধ্যে ৭০৩টি চালু ও ৩৬টিতে আর্সেনিক, ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নে ৭৭২নলকূপের মধ্যে ৭৪৭টি চালু ও ৬১টিতে আর্সেনিক, সিংচাপইড় ইউনিয়নে ৬৫৮নলকূপের মধ্যে ৬০৭টি চালু ও ৫২টিতে আর্সেনিক, উত্তর খুরমা ইউনিয়নে ৩৯৭নলকূপের মধ্যে ৩৫০টি চালু ও ৩৭টিতে আর্সেনিক, ইসলামপুর ইউনিয়নে ৮৭০নলকূপের মধ্যে ৮১২টি চালু ও ১৮০টিতে আর্সেনিক, পৌরসভায় ১৬৭৫নলকূপের মধ্যে ১৫৩৯টি চালু ও ৩৪২টিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকসহ উপজেলা ও পৌরসভায় সরকারি ১০হাজার ২শ’৬৭নলকূপের মধ্যে অকেজো ৬শ’৩৯টিও আর্সেনিক রয়েছে ১হাজার ১শ’৮৮ নলকূপে। এছাড়া পৌরসভায় ডীপটিউবওয়েল রয়েছে প্রায় ৩হাজার। এরমধ্যে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩৩৬নলকূপের মধ্যে ৩০২টি চালু, ৩৪টি অকেজো ও ১৫০টিতে আর্সেনিক রয়েছে। পাহাড়ী অঞ্চল ইসলামপুর ইউনিয়নে তারা নলকূপ, রিংওয়েল ও গভীর নলকুপ রয়েছে আরো ১৯৫টি। কিন্তু এসব নলকূপে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরীক্ষার সরকারি কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ৩শ’ থেকে ৫শ’ পিপিবি আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে রোগাক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানায়, পিপিবি ৫০এর মধ্যে পানি পান ব্যবহার যোগ্য। এর উর্ধ্বে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে আর্সেনিকোসিস রোগসহ জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। এছাড়া ২০০১সালে পরিচালিত জরিপে মান্দাতা আমলের ওষুধপথ্য ও যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আর্সেনিকের পরীক্ষা যথোপযুক্ত হয়নি বলে তারা জানান। কিন্তু বর্তমানে আর্সেনিক পরীক্ষায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার হলেও এক্ষেত্রে সরকার আর কোন উদ্যোগ নেয়নি।