যে কারণে রিক্তাকে ভালো লেগেছে রেলমন্ত্রীর
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আর মাত্র অল্প কিছুদিন। আগামী ৩১ অক্টোবর শুক্রবার ৬৭ বছরের একাকিত্বের জীবন অবসান ঘটিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুল হক মুজিব।
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন সংসার জীবন। রেলমন্ত্রীর বিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা কৌতূহল শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। কেনই বা জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন, কেনই বা এতদিন বিয়ে করেননি এ নিয়ে নানা প্রশ্ন মানুষের মনে।
মন্ত্রীর বিয়ে নিয়ে শুধু কুমিল্লা নয়, সারা দেশেই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তবে বিষয়টিকে তিনি ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন। তবে কিছু কিছু কারণে দুঃখও প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, একজন মন্ত্রী বিয়ে করবে বিষয়টি আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। এটাকে আমি নেতিবাচক হিসেবে দেখছি না। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ এ বিয়ে নিয়ে উভয় পরিবারের কাছে অনেক মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে, যা নোংরামির পর্যায় পড়ে। এটা ঠিক না। এসব মিথ্যা কথা বলে যারা সুখানুভব করছে তাদেরকে এ পথ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ আমাদের মহান আল্লাহ পাকও গিবত পছন্দ করেন না।
রেলমন্ত্রীর বিয়ের আয়োজন প্রায় শেষ। এ মুহূর্তে তিনি তার অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে বলেন, অবশ্যই ভালো লাগছে। আপনারা দোয়া করবেন আমি যাতে সুখী হতে পারি। একজন মুসলমান হিসেবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই আল্লাহর মেহেরবানিতে আমি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছি।
রেলমন্ত্রী সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন অসংখ্য লোক তার ড্রয়িং রুমে আবার যখন ঘুমে যান তখনো অসংখ্য লোকের সঙ্গে কথা বলেই তাকে বেডে যেতে হয়। গোটা রাজনৈতিক জীবনেই এভাবে চলে আসছে তার। বিয়ের পরও এর কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানালেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
তিনি বলেন, দেখুন, আমি মুজিবুল হক একজন কৃষকের ছেলে। চৌদ্দগ্রামের আমার আপামর জনসাধারণের কারণেই আজ আমি গত তিনবার এমপি হয়েছি, জাতীয় সংসদের হুইপ হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি এবং মন্ত্রিসভায় এখনো আছি। সুতরাং আমি বিয়ে করার পর আমার জনগণ আমাকে আগের মতোই কাছে পাবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, চৌদ্দগ্রামের মাটি ও মানুষ আমার রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। শুধু চৌদ্দগ্রাম নয়, এ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমার কাছে যারাই তাদের সমস্যা নিয়ে এসেছে আমি চেষ্টা করছি এবং এখনো করছি সাধ্যমতো সবার উপকার করার। সুতরাং জনগণই আমার প্রথম এবং শেষ ঠিকানা।
হঠাৎ একদিন দেখা, দেখা থেকে ভালো লাগা পরে পরিণয়। হবু বধূ হনুফা আক্তার রিক্তার কোন দিকটি তাকে আকৃষ্ট করেছে জানতে চাইলে মুজিবুল হক বলেন, পর্দাশীন, মার্জিত এবং নামাজি হওয়ার কারণে তাকে আমার ভালো লেগেছে।
পরিণত বয়সে এসে বিয়ের কারণ সম্পর্কে রেলমন্ত্রী বলেন, সত্যি কথা হচ্ছে, জীবনের এ পর্যায়ে এসে আমি উপলব্ধি করলাম, বিয়ে মানুষের জীবনকে পূর্ণতা দেয়। একা থাকা যায় না। জীবনের একটা সময় এসে সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। তাই এ সিদ্ধান্ত।