নামে বিপত্তি : মেয়রের দায়িত্ব পাচ্ছেন না কয়েস লোদী!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাচ্ছেন না ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নামে সঙ্গে আদালতে রিট পিটিশনকারীর নামের পুর্ণাঙ্গ মিল না থাকায়ই এই বিপত্তি ঘটেছে। এনিয়ে নগরভবনসহ নগরীজুড়েও নানা আলোচনা চলছে।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলররা বলছেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশেনের কোনো ওয়ার্ডেই রেজাউল হাসান কয়েস লোদী নামে কোনো কাউন্সিলর নেই। তবে, ৪ নং ওয়ার্ডে ‘রেজাউল হাসান লোদী (কয়েস লোদী) নামে একজন কাউন্সিলর রয়েছেন। তিনি সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১। সরকারি গেজেটেও এই নাম রয়েছে। কিন্তু রিট পিটিশনকারীর নাম হচ্ছে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। এই নাম বিভ্রান্তির কারণেই রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আপাতত ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভবনা নেই।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব না দিয়ে চীন সফরে যাওয়ায় মঙ্গলবাল হাইকোর্টে রিট পিটিশন (নং- ৯৪৮৭/১৪) দায়ের করেন তিনি। রিট আবেদনে প্রতিপক্ষ করা হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে।
বুধবার এই রিট পিটিশনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও ভবানী প্রসাদ সিংহের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে আদালত নির্বাচিত মেয়রের অনুপস্থিতিতে প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে দেয়ার জন্য রিট আবেদনের প্রতিপক্ষকে নির্দেশ দেন। কয়েস লোদীর পক্ষে রিট আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ মো. ইজাজ রহমান।
এদিকে, রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর আইনজীবী শাহ মো. ইজাজ রহমান ‘জহির এন্ড এসোসিয়েটস’র প্যাডে উচ্চ আদালতের নির্দেশের সার্টিফাইড একটি কপি ফ্যাক্সযোগে সিলেট সিটি করপোরেশনে পাঠান। এই কপিতে রিট পিটিশনার বা আবেদনকারী হিসেবে লেখা রয়েছে ‘রেজাউল হাসান কয়েস লোদী’। এই কপি আসার পর নগর ভবনে তোলপাড় শুরু হয়। অনেকেই বলছেন, এই আদেশের পর প্যানেল মেয়র-২ এডভোকেট সালেহ আহমদের দায়িত্ব পালন বেআইনি। আবার অনেকেই রিট আবেদনকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সিসিকের ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম বলেন, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী নামে কোনো কাউন্সিলর নেই। এই নামে আমরা কাউকে চিনি না। আদালত থেকে রিট পিটিশনের কপি পেয়ে সংশ্লিষ্টরা হয়তো তার জবাব দেবেন।
এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, গেজেটের নামেই রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। আইনজীবীর সার্টিফাই কপিতে হয়তো ভুল হয়েছে। যদিও ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজাউল হাসান লোদী (কয়েস লোদী)র নগরীর হাউজিং এস্টেটে একটি কার্যালয় রয়েছে।
একটি দ্বিতল ভবনের সামনে লাগানো সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে- ‘রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, প্যানেল মেয়র, সিলেট সিটি করপোরেশন’। ভবনটির আশপাশে কয়েটি দিক নির্ণায়ক (ইনডিকেটর) সাইনবোর্ডেও লেখা রয়েছে- ‘প্যানেল মেয়র কার্যলয়।’ ১০৪ হাউজিং এস্টেট কমিউনিটি হল, আম্বরখানা, সিলেট।’
এই দ্বিতল ভবনটিই কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেন কয়েস লোদী।