আলহাজ্ব মো: মখলিছুর রহমান কলেজ : মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ

সাংবাদিক সম্মেলনে কলেজের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে এমন কোন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, ২৩ অক্টোবর: কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা কলেজের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে এমন কোন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের রাতগাঁও এর আলহাজ্ব মো: মখলিছুর রহমান কলেজ গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহ্জ্বা এম এ রহিম শহীদ সিআইপি। বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক জনাকীর্ন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অনুরোধ জানান। সম্প্রতি কলেজ নিয়ে পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত বিবেচনা, কলেজের মানসম্মান এবং তার অবস্থান বর্ণনার নিমিত্তে এ সংবাদ সম্মেলনের আেিয়াজন করা হয় বলে তিনি জানান।।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলহ্জ্বা এম এ রহিম শহীদ সি.আই.পি জানান মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল ব্যাপী কোন কলেজ না থাকায় গণদাবীর প্রেক্ষিতে রাতগাও এলাকায় তিনি ও তার ভ্রাতা কলেজের দাতা সদস্য মুজিবুর রহমান এর উদ্যোগে তাদের পিতার নামে আলহাজ্ব মো: মখলিছুর রহমান কলেজটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করি। কলেজের বেতন, বইপুস্তকসহ যাতায়াত সম্পূর্ণ ফ্রি ভিত্তিতে অবৈতনিকভাবে কলেজটি চালু করি এবং সম্পূর্ন ব্যয়ভার আমি নিজেই বহন করি। প্রতি মাসে কলেজের ব্যয় নির্বাহের জন্য ৪/৫ লক্ষ টাকা আমি ও আমার ভাই অধ্যক্ষ্যের হাতে তুলে দেই। আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ননী গোপাল রায় আমার পূর্ব পরিচিত এবং আমাদের এলাকাবাসী। মাসিক ৩০ হাজার টাকা বেতনে তাকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি ব্যবসা বানিজ্য ও সমাজকর্মের কারণে ঢাকা এবং লন্ডনে অবস্থান করার কারণে আমার ভ্রাতাই সার্বক্ষনিকভাবে কলেজ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের কঠোর পরিশ্রম ও ছাত্রছাত্রীদের অধ্যবসায় এর ফলে পরীক্ষায় কলেজের শতকরা একশত ভাগ পাশের ফলাফল আসতে থাকে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কলেজ পরিদর্শন কওে কলেজটি এমপিওভুক্তি এবং ডিগ্রী ক্লাশ পর্যন্ত খোলার তাগিদ প্রদান করেন। এই আলোকে আমি গভর্নিং বডির সভা ডাকার জন্য অধ্যক্ষকে অনুরোধ করি এবং বিগত চার বছরে কলেজের প্রায় ৩ কোটি টাকার হিসাবনিকাশ দিতে বলি। কলেজের এমপিওভুক্তিতে হিসাবনিকাশ, ষ্টক রেজিষ্টার, ক্যাশ বই, বেতনের খাতা, অধ্যক্ষ, অধ্যাপকমন্ডলীর নামের তালিকা, নিবন্ধনকৃত শিক্ষক নিয়োগ, নিয়মিত অডিট রিপোর্ট প্রদান একান্ত প্রয়োজন যা শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক চাহিত। কিন্তু এতে অধ্যক্ষ অনীহা প্রকাশ করেন। কারণ কলেজটি এমপিওভুক্তি হলে পেনশনধারী অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি এখানে চাকুরী করতে পারবেননা। সরকারী বিধিবিধান মোতাবেক নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রয়োজন হবে।
আমাদের সকলের দাবীর প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলেজের গভর্নিং বডির সভা আহবান করেন অধ্যক্ষ। সভাপতি হিসেবে সভায় যথারীতি হিসাবনিকাশ এবং কলেজের এমপিও ভুক্তির কাগজপত্র তৈরীর কথা বললে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি আমার পিতা তুলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করলে সভায় উত্তেজনার সৃষ্ঠি হয় এবং চেয়ার টানাটানি হয়। এক পর্যায়ে তিনি অব্যাহতিপত্র দিয়ে কলেজ থেকে চলে যান। অব্যাহতিপত্রে তিনি প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের যথাযথ হিসাবনিকাশ দিতে না পারায় স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে অধ্যক্ষ পদ হতে অব্যাহতি নিলাম উল্লেখ করে তার দ্বারা প্রতিষ্ঠানের কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতি হবে না বলে উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র কওে অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায় এর বরাত দিয়ে পত্রপত্রিকায় কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সৃষ্ঠ সংকট নিরসনের জন্য জেলা সদরের সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের প্রস্তাব দিলে আমি সম্মতি প্রকাশ করি। মন্ত্রী এ ব্যাপারে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একটি সালিশ কমিটি করে দেন। আমি প্রস্তাব মেনে কোন কার্যক্রম না করলেও অধ্যক্ষ মহোদয় তার পক্ষ থেকে কলেজ ও আমাকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করছেন যা দু:খজনক। এ ব্যাপারে কলেজের শিক্ষকমন্ডলীও বিগত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিবাদপত্রে তারা ঘটনা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমুলক বলে উল্লেখ করেছেন।
আলহ্জ্বা এম এ রহিম শহীদ সি.আই.পি নিরপ্ক্ষেভাবে সমস্ত তথ্যাবলী জেনে সত্য সংবাদ প্রকাশ এবং কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা কলেজের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে এমন কোন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে কলেজের দাতা সদস্য মুজিবুর রহমান, কলেজ গভর্নিং বডির অন্যান্য সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।