থাইল্যান্ডে ১৩০ বাংলাদেশি উদ্ধার (ভিডিও)
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ থাইল্যান্ডের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গত সপ্তাহে ১৩০ জন বাংলাদেশি দাস শ্রমিককেকে উদ্ধার করেছে। তাদের দাস হিসেবে বিক্রির জন্যই সে দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে শনিবার বিবিসি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানায়, ভালো বেতনে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসব বাংলাদেশিকে সেদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে মানব পাচারকারীরা তাদের থাইল্যান্ডের উপকুলীয়বর্তী জঙ্গলে লুকানো কিছু ক্যাম্পে নিয়ে যান এবং দাস শ্রমিক হিসেবে বিক্রি করে দেন। বিবিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়ার পরই তাদের ওষুধ খাইয়ে, হাত-পা বেঁধে নৌকায় করে থাইল্যোন্ড নিয়ে যাওয়া হয়। ওই নৌকায় প্রায় ৩০০ বন্দী ছিল।
উদ্ধার পাবার পর আবদুর রহিম নামের একজন বাংলাদেশি বলছিলেন, তাদের জঙ্গলে নিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। কোন খাবার দেয়া হয়নি। ১০ দিন তারা শুধু পাতা খেয়ে বেঁচে ছিলেন। তিনি বলেন, থাই দালালরা তাকে এমন মারধোর করেছে যে এখনো তিনি খুঁড়িয়ে হাঁটেন।
সম্ভবত এদের ক্ষেত-খামারে বা মাছধরার নৌকায় দাসশ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হতো।
তিন সপ্তাহ বন্দী থাকার পর স্থানীয় এক জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা তাদের উদ্ধার করেন। তবে আরো ৬০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরেই মানবপাচার একটি বড় সমস্যা। মাছ ধরার নৌকাগুলোতে দাস শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ ওঠায় ইউরোপে সি-ফুড জাতীয় খাদ্যের বাজার হারাচ্ছে থাইল্যান্ড। এ ব্যাপারে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বছরই মানবপাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল থাই সরকার। কিন্তু পাচার হওয়া এসব বাংলাদেশিদের উদ্ধারের ঘটনার পর ধারণা করা হচ্ছে দেশটিতে সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে।
এর আগে গত শনিবার দক্ষিণ থাইল্যান্ডের একটি রাবার বাগান থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে যাওয়া ৫৩ জনকে উদ্ধার করে থাই পুলিশ। ওই সময় মানব পাচারের অভিযোগে দুই থাই নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়।
থাই কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, উদ্ধারকৃত ৫৩ জনের বেশিরভাগই মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্য।
http://www.youtube.com/watch?v=_7oBmaOPsPw