রাজনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে আটক ২৫ জন

আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিতে মন্ত্রীর ভাইয়ের প্রচেষ্টা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কেওলা(ধুলিজুরা) গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংঘর্ষে এক রাউন্ড গুলি বর্ষন সহ ৫ জন আহত হয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২৫ জনকে আটক করেছে।এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের দুই ভাই মৃত আকল আলীর পুত্র খেলা মিয়া ও বাদশা মিয়ার পুত্র আব্দুর রব গংদের মধ্যে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হামলা-পালটা হামলা সহ মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল।এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দ্ধিবাগত রাত কে বা কারা খেলা মিয়ার গোয়াল ঘরে আগুন ধরিয়ে দিলে গোয়াল ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘোয়ালঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় খেলা মিয়ার লোকজন প্রতিপক্ষের রব মিয়ার লোকজনকে সন্দেহ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় খেলা মিয়া বহিরাগত ভাড়াটে মাস্তান ভাড়া করে তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে রব মিয়ার লোকজনের উপর হামলা চালায়।খবর পেয়ে রব মিয়ার লোকজন ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে খেলা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়।রব মিয়া জানান, খেলা মিয়ার ভাড়াটে মাস্তানরা তাদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছুড়ে।খবর পেয়ে রাজনগর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে গুলি বর্ষনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হলে ঘতনাস্থল থেকে ২৫ জনকে আটক থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।রাত ৮ ঘটিকায় দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের রাজনগর প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম খবর সংগ্রহে থানায় গেলে কর্তব্যরত কনষ্টেবল তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরে কনষ্টেবল জানায়,ভিতরে এস,পি সাহেব সহ বৈঠক চলছে,বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেয়া হবে।নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়,খেলা মিয়ার লোকজনকে আটকের খবর শুনে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর ছোট ভাই লিয়াকত আলী থানায় এসে খেলা মিয়ার লোকজনকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ করছেন।সুত্র মতে মন্ত্রীর ভাইয়ের কারনে পুলিশ হয়ত শেষ পর্যন্ত খেলা মিয়ার লোকদের ছাড়তে বাধ্য হবে।এ ব্যাপারে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১০ টায় রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নাজিম উদ্দিনকে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।