মৌলভীবাজারে দু’টি উপজেলায় দুই শিশু ধর্ষিত
আব্দুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বৌলসির বাজারের এক মুদি দোকানের মালিক সামছু (২৮) নামে এক লম্পট ৯ বছরের সংখ্যালঘু শিশুকে ধর্ষণ করেছে। এদিকে কমলগঞ্জ থানায় চাচার বাড়ি বেড়াতে এসে চাচাতো ভাই কর্তৃক ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। মেয়ের বাবা হত দরিদ্র সৌরভ দাস জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় মেয়েটি দোকানে বিস্কুট আনতে যায়। তখন লম্পট সামছু তাকে প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের পেছনে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে তার স্বজনরা দোকানের সামনে থেকে নিয়ে আসলে ঘটনার বিবরণ দেয় শিশুকন্যা। মেয়ের বাবা অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ মাস্টার বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার কথা বলে বিনা চিকিৎসায় আটকে রেখেছেন। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুক্রবার প্রতিবেদককে জানান,তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছেন। কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিষয়টি জানতে চেয়ারম্যানের ফোনে বার বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে ঈদের ছুটিতে চাচার বাড়ি বেড়াতে এসে চাচাতো ভাই কর্তৃক ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা কমলগঞ্জ থানায় মামলা দিলে বুধবার সন্ধ্যায় ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে।কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদকানি গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৪) ঈদের ছুটিতে বেড়ানো উপলক্ষে মঙ্গলবার বাবার মামাতো ভাই দক্ষিণ যোগিবিল গ্রামে শাহজাহান মিয়ার বাড়ি আসে। রাতে সুযোগ বুঝে সাইফুল পাশের কক্ষ থেকে চাচাতো বোন ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার বিকালে ছাত্রীর বাবা শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল হক ধর্ষক সাইফুলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন।