নবীগঞ্জে পল্লীবিদ্যুত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা-আর প্রাণে সহেনা !
পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং আর ভেলকিবাজীতে অতিষ্ট

উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ নবীগঞ্জে পল্লীবিদ্যুতের খামখেয়ালীপনা ও ঘন ঘন লোডশেডিং এ অতিষ্ট পৌর এলাকাসহ উপজেলার ৩৫৪ গ্রামের সাধারন মানুষ। এই আছে,এই নেই, এটিই হলো বর্তমান সময়ে নবীগঞ্জের পল্লীবিদ্যুতের প্রতিদিনের চিত্র। সাধারন মানুষকে কোন রকম অবগতি ও নোটিশ ছাড়াই সারা দিন বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে উপজেলর সকল মানুষকে। তবে শহরে লোডশেডিং এর মাত্রা কিছুটা কম সময় থাকলেও গ্রামআঞ্চলে এর ভুগান্তি চরম আকার ধারন করে। ঘনঘন লোডশেডিং চরম দূর্ভোগে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। বিদ্যুতের এ রকম ভেলকীবাজী দেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বাংলার জনগণ দেখে ছিল তা হয়তবা বাস্তবে পূরণ হবেনা কখনো এই ধারনা অনেকেরে মান। লোাডশেডিংয়ের কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই নবীগঞ্জে। অনেক গ্রাহক ােভ প্রকাশ করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং হলে আমরা পূর্ব থেকে প্রস্তুত থাকতে পারি। এ অবস্থায় লোডশেডিং চলতে থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকাই ভালো। লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করার ফলে বিপাকে পরেছেন স্কুল কলেজে পড়–য়া শিার্থী,ব্যবসায়ী,খলকারখানার মালিকগন,সংবাদকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। হঠাৎ করে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার ফলে সাংবাদিকদের পরতে হয় নানান বিপাকে। কেননা নির্দিষ্ট সময়ে সংবাদ না পাঠালে তা প্রকাশের উপযোগী হয়না । শুধু সাংবাদিদের নয় ব্যবসায়ীদেরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতি মাসে। তাছাড়া বিদ্যুতের আলোতে পড়াশোনা করে অভ্যস্থ ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি ও বাতাসের আভাস পেলেই পল্লীবিদ্যুত কর্তৃপক্ষ কোন রকম অবগতি ছাড়াই বিদ্যুত লাইন বন্ধ কওে দেয়। বিদ্যুত না থকার কারন জানতে চেয়ে অফিসে একাধিক বার ফোন করলে রিসিভ করা হয় না আর ফোন রিসিভ করলেও প্রতিদিনই থাকছে কোন না কোন সমস্যা । অথচ সমস্যা সমাধানে দ লোক নিয়োগ দিচ্ছেনা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। সাধারণ মানুষ মনে করেন, এই ধরণের সমস্যার জন্য পল্লীবিদ্যুতের নিয়মিত অনিয়ম ও খায়খেয়ালীপনাই দায়ী। এছাড়ার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের প্রতিটি কর্মচারী কর্মকর্তা দুর্ণীতি অনিয়মের সাথে প্রত্য পরোভাবে জড়িত থাকার ও অভিযোগ রয়েছে গ্রাইকদের। নতুন সংযোগ নিতে গেলে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে হয়রাণীর শিকার হতে হয় সাধারন জনগণকে। এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুতের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেও কোন প্রতিকার পাননি সাধারন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।