সার্কাস মার্কা নির্বাচনের মাধ্যমে দখলদারি সরকারে পরিনত হয় আ’লীগ
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সরকার ও দলের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়লেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। তিনি গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সার্কাস মার্কা নির্বাচন উল্লেখ করে সরকারকে দখলদারি সরকার হিসেবে অবহিত করে বলেছেন, আমাকে গত ৮ বছর ধরে রাজনৈতিক কারাগারে বন্ধি করে রাখা হয়েছে। দরজা বন্ধ করে ডাক দিলে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। আমার পদ-পদবি কেড়ে নিয়ে আমাকে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। সুলতান মনসুর গতকাল শুক্রবার বিকালে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। সুলতান মনসুর রাজনীতি ছাড়া প্রসঙ্গে বলেন, আমি আওয়ামীলীগে আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। মুজিব কোট ও জয় বাংলা না ছেড়ে রাজনীতি করে যাবো। জাতীয় ঐক্য ফ্লাটফর্ম গঠনের কাজ চলছে। আমি সে ফ্লাটফর্মে আছি। আওয়ামী লীগের হয়েই সেখানে থাকবো। কে কি বলল সেটা নিয়ে আমি ভাবি না।
সংবাদ সম্মেলনে সুলতান মনসুর আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচনে দেশের ১০ জন রাজনীতিবিদের তালিকা করা হলে আমিও সে তালিকায় থাকার যোগ্যতা রাখি। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে অজ্ঞাত কারণে মৌলভীবাজার-২ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আমি ধর্য্য ধরেছি। পরবর্তীতে আমার দলীয় পদ-পদবিও কেড়ে নেওয়া হয়। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাত্র ১ হাজার ৫২ ভোট পান দলের প্রার্থী। গত ৫ জানুয়ারি সার্কাস মার্কা নির্বাচনের মাধ্যমে দখলদারি সরকারে পরিনত হয় আওয়ামীলীগ। ওই নির্বাচনের কথা দেশের মানুষ জানে। কিভাবে ১৫৩ জন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী সরকারিভাবে পালন না করাসহ মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাক্তির অবদানকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সমালোচনা করে সুলতান মনসুর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। জনগন সেই সরকার পদ্ধতি বাতিল করার জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি। হজ্ব নিয়ে নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সুলতান মনসুর বলেন, তার এই বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অধিকার কারো নেই।