ছাত্রদলের দুই গ্রুপ মুখোমুখি : ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের গুলি
রেজিস্টারি মাঠের প্রধান গেইটে তালা!
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট নগরীতে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। পুলিশ ৮ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও লাটিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সকালে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল বের করে নব গঠিত জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। মিছিলটি নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজারের দিকে এগুতে থাকলে তাদের প্রতিহত করতে পদবঞ্চিত বিদ্রোহী ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মোটর সাইকেল যোগে তাদের আক্রমন করার চেষ্টা করে। এসময় নবগঠিত ছাত্রদলের পুরান লেন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিহত করলে শূরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা পরস্পরকে লক্ষ্য করে প্রায় ৩০/৪০টি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটায়। ককটেল বিস্ফোরনে নগরীতে আতঙ্ক বিরাজ করে। পথচারীরা দিকবেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। মুহুর্তেই বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। পরে পুলিশ এসে লাটিচার্জ ও ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন বলে তারা দাবি করেছেন। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়ায় ছাত্রদলের উভয় পক্ষে আহত ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে কালাম, আফজল, সুমন নামের তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রদলের দুই পক্ষই মিছিল করতে না দেওয়ায় পুলিশকে দোষারূপ করেছেন। নগর কমিটির নতুন সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী জানান, বিএনপির নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে তাঁদের বিক্ষোভ কর্মসূচি। পুলিশ কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ায় ক্ষোভ থেকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পদ না পাওয়া ছাত্রদলের গ্রুপের জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংসগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, নতুন কমিটির নামে মূল ধারার বাইরের কিছু লোকের মিছিল প্রতিহত করতে পুলিশি হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ সম্পর্ক তিনি বলেন, ‘এগুলো আমাদের প্রতিপক্ষরা করেছে।’
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) মো. রহমতুল্লাহ জানান, কমিটি নিয়ে বিরোধে ছাত্রদলের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি তৎপরতায় মাঠে ছিল। রেজিস্টারি মাঠে এক পক্ষ মিছিল ও সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয়। পুলিশের কাছ থেকে আগে কোনো অনুমতি না নেওয়ায় তাঁদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষই পুলিশের মুখোমুখি হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে পরে আট রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।