ছাত্রলীগ নেতার নির্দেশে ছাত্রদলের হামলা
ছাতকে সওজ ঠিকাদার কে চাঁদাবাজদের হামলা ও গাড়ী ভাংচুর
এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা স্বর্ণ চালের সাথে জড়িত, প্রায় ২ কোটি টাকা মাসে আয়
ছাতক থেকে সংবাদ দাতাঃ সুনামগঞ্জ ছাতকে সওজ ঠিকাদারকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় হামলা ও গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১০টার দিকে ছাতকের কৈতক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান গ্র“পে নেতা ফয়েজ আহমদের নেতৃত্বে ১৫/২০টি মোটর সাইকেল যোগে ৩-৩৫ জন লোক এ হামলা চালায়। হামলা করে আর হামলাকারীরা কয় আমাদের নেতা মাসুদ কামাল সুফি ভাইকে আপনি অপমান করছে। ১ কোটি টাকা দিতে কইয়া দিচ্ছ না বলে বলে হামলা করে। ছাতক উপজেলা স্রেষ্ট চেয়ারম্যান বিলাল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সওজ ঠিকাদারের উপর হামলা ও গাড়ী ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। হামলা ও গাড়ী ভাংচুর করার মামলা নিতে হিমসিম খাচ্ছে ওসি।
ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল জানান, ৫/১০ দিন আগ থেকে স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসী মিজান গ্র“পের কর্মী ছাত্রদল নেতা ফয়েজ আহমদ সওজ ঠিকাদারের কাছে এসে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। ওনি বলেন কে তোমাকে পাঠিয়েছে তার লগে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী বলেন আপনার জানার দরকার ওনি আমাদের নেতা মাসুদ কামাল সুফি ভাইর এ.পি.এস ফয়েজ আহমদ।
ছাতক উপজেলা ছাত্রদল নেতা পিযুষ কান্তি দাস বলেন, আমাদের ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গীয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ কামাল সুফি এপিএস হিসাবে পরিচিত ছাত্রদল নামধারী ফয়েজ আহমদ এই অপকর্ম করেছে। এঘটনায় সঙ্গে থাকা তাদের ছাত্রদলের কারো সম্পৃক্তা নেই। সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন, সাবেক মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি আবুদল ভুইয়া জুয়েল ও হাবিবুর রহমান হাবিব ভাইকে এই ঘটর্নায় ছাত্রদল নেতা নামধারী ফয়েজ কে ছাত্রদল থেকে বহিঃকার করা একান্ত জুরুরী হয়ে পড়েছে। কারণ গত ১৫ দিন আগে মাসুদ কামাল সুফির প্রায় ১ কোটি টাকা স্বর্ণ চালালের চুরি ঘটনা ১ম আসামী মাসুদ কামাল সুফি, যুবলীগ নেতা ফয়েজ আহমদ, ছাত্রদল নেতা ফয়েজ আহমদ (মিজান গ্র“প) আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গীয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রদল নামধারী ফয়েজ আহমদ। ফয়েজ আহমদ মদ, ইয়াবা ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমনি গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মহানগর ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিল্লুর হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে। তাকে গ্রেফতার করিলে সত্যতা প্রমান পাওয়া যাবে।
ছাতক থানা ওসিম শাহজালাল মুন্সি বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ কামাল সুফি, যুবলীগ নেতা ফয়েজ আহমদ ও ছাত্রদল নেতা ফয়েজ আহমদ মিজান গ্র“প কর্মী বলে আমাকে সােিয় দেয়। কিন্তু আমি সরজমিনে সওজ সরকারী ঠিকাদারকে চাঁদা দাবী ও তার গাড়ী ভাংচুর করেছে ঐ সন্ত্রাসীরা। তবে, জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান তিন। তবে স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রল নেতা শামিম চৌধুরীর সরনাপন্ন হয়ে তাদের উপর ব্যবস্থা নিব। কিন্তু ছাত্রদল নেতা ফয়েজের বিরুদ্ধে ২ কোটি স্বর্ণ চালালের মামলা রয়েছে। ছাতক থানা ওসি মামলা নং ২০/২০১৪ইং এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।