শাহজালাল (র.) ৬৯৫তম বার্ষিক ওরসের প্রস্তুতি সম্পন্ন
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের ৬৯৫তম বার্ষিক ওরস আগামী ১৯ ও ২০ জিলক্বদ মোতাবেক ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর (সোম ও মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মাজার কর্তৃপক্ষ। ওরস পালনের কর্মসূচির মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব থেকে পশু জবাই, ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মাজারে গিলাফ ছড়ানো।
রাতে শব্বিনা খতম, কোরান খানি ও রাত দুইটা পর্যন্ত জিকির আজকার। এরপর ভক্তিমূলক গজল, রাত তিনটায় আখেরি মোনাজাত শেষে ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে শিরনি বিতরণ করা হবে। মাজার কমিটির সেক্রেটারি সামুন মাহমুদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ওরসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাজার কমিটির পক্ষ থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে আরো ৫/৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। থাকবে মাজার কর্তৃপক্ষের আড়াই হাজার নিরাপত্তা কর্মী। সেই সঙ্গে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবার জন্য থাকবে একটি মেডিকেল টিম।
পাশাপাশি দমকল বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগের দুটি টিম সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবে। মাজারের ওরস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সবকিছু পরিচালিত হবে। এদিকে, বাংলাদেশে ঘাঁটি স্থাপন সম্পর্কে আল কায়দা প্রধান আইমার আল জাওয়াহিরির হুমকিতে জঙ্গিবাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে ওরস চলাকালীন মাজার এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি সক্রিয় থাকবে র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
মাজার এলাকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক বৈঠক গত ৮ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা ও মাজার কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মাজার এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা ও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এদিকে, ওরসকে সামনে রেখে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্ত-আশেকানরা সিলেটে আসতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে বুকিং প্রায় শেষ। এছাড়াও ওরসে আগতদের স্বাগত জানাতে সিলেটের বিভিন্ন মোড়ে তোরণ তৈরি করা হয়েছে।
বিভিন্ন পর্যটন এলাকায়ও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ওরস শেষে আগতরা যেন পর্যটন নগরী সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে পারেন, এ কারণে পর্যটন এলাকার নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, মাজারের নিরাপত্তায় সাড়ে সাত শতাধিক পুলিশ দুই ভাগে বিভক্ত হযে দায়িত্ব পালন করবেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে মাজার কর্তৃপক্ষের ১৬টি সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে আরো ৫/৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ওরস চালাকালে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে।