দায়িত্ব পেয়েই শক্তির জানান দিলো ছাত্রলীগ

তালতলায় দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : ভাংচুর

Chhatroleageসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়েছে কদিন আগে। নব-গঠিত কমিটির নেতাকর্মীরা তাদের পুরো দায়িত্ব বুঝে নিতে না নিতেই দেখা দিয়েছে বিদ্রোহ। ছাত্রলীগ নেতারা দায়িত্ব পেয়েই নিজেদের ক্ষমতা আর শক্তির জানান দিতে অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামতে বিলম্ব করেননি। গতকাল শনিবার রাতে নগরীর তালতলায় ছাত্রলীগের দুগ্রুপ একে অপরের বিপক্ষে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছেন। এ সময় তালতলার একটি রেষ্টুরেন্টে ভাংচুর করার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। তালতলা এলাকায় নিজেদের একক আধিপত্য বজায় রাখতে ও অভ্যন্তরিন কোন্দলের কারণে ওই সংঘর্ষেও সূত্রপাত ঘটে। অপর আরেকটি সূত্রে জানাগেছে, জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘিরে এ ঘটনা ঘটে। রাত পৌনে ৯ টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খান ও জেলা ছাত্রলীগের নব-গঠিত কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ গ্রুপের নেতাদের মাঝে সংঘর্ষ, উত্তেজনা ও শক্তি পদর্শনের সময় তালতলা সড়ক ছিল ছাত্রলীগের দখলে। রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা অস্ত্রনিয়ে রাজপথে অবস্থান করেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও কাউকে আটক কিংবা কোন অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। অবশ্য নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে রাজপথে অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় উভয় গ্রুপের ছাত্রলীগ ক্যাডাররা সিলেটের দায়িত্বরতো প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের ছবি তুলতে নিষেদ করে।
স্থানীয়রা জানান, ফরহাদ হোসেন খানসহ তার গ্রুপের নেতা কর্মীরা তালতলাস্থ নূসরাদিয়া রেষ্টুরেন্টে বসা ছিলেন। এসময় শাহরিয়ার আলম সামাদ গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। নবনির্বাচিত সভাপতি শাহরীয়ার আলম সামাদ গ্রুপের হামলায় জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খানসহ ৪ জন আহত হন। নতুন কমিটির নেতৃত্ব ও তালতলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। রাত সাড়ে ১০ টায় দা, চাইনিজ কোড়াল ও আগ্নেআস্ত্র নিয়ে ফরহাদ গ্রুপ তালতলাস্থ নূসরাদিয়া রেষ্টুরেন্টের সামনে ও সামাদ গ্রুপ কাজিরবাজার মাদরাসার সামনে অবস্থান করে। সংঘর্ষ ঠেকাতে দুই গ্রুপের মাঝখানে পুলিশ অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে শাহরীয়ার আলম সামাদ সবুজ সিলেটকে জানান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খান পদ-পদবী দেয়ার কথা বলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর কাছ থেকে টাকা নেন। কিন্তু তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি হতে না পারায় ওইসব নেতাকর্মী তাদের টাকা ফেরত চায়। কিন্তু ফরহাদ তাদের টাকা ফেরত দেননি। এর জের ধরে পাওনাদাররা তার উপর হামলা করেছে বলে আমি শুনেছি। হামলার সাথে নিজের গ্রুপের কেউ জড়িত নন জানিয়ে তিনি বলেন, নূসরাদিয়া রেষ্টুরেন্টে কেবা করা হামলা করেছে তাও তিনি জানেন না বলে দাবি করেন। এ ব্যাপারে জানতে ফরহাদ হোসেন খানের সাথে যোগাযোগ করলে তার মোবইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয় পক্ষকে পুলিশ বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছে।