পুলিশি হেফাজতে যুবকের মৃত্যু

Chapaiসুরমা টাইমস ডেস্কঃ পুলিশি হেফাজতে ইউসুফ আলী (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ গ্রেপ্তারের পর পুলিশি নির্যাতনেই কারণেই ইউসুফের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, অতিরিক্ত ইয়াবা খেয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ ইয়াবার কথা বললেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।
ইউসুফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটি ঝাঁপাইপাড়া এলাকার তরিকুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বটতলা হাটের পাশ থেকে ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রেপ্তারের পর থেকেই পুলিশ ইউসুফকে নির্যাতন করে। মারধর ছাড়াও পিকআপ ভ্যানে ওঠানোর পরও তার উপর পুলিশ নির্যাতন চালানো হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
একই অভিযোগ নিহতের পরিবারেরও। সৎ বাবা ইব্রাহিম, মা আমেনা ও তার বোন মৌসুমী জানান- ইউসুফকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনাস্থলেই পুলিশ তাঁকে ব্যাপক নির্যাতন করে। নির্যাতনের ফলে ইউসুফের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়।
আটকের পর পুলিশ বিকাল ৪টায় তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলে। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও ড. শফিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৭টায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ইউসুফের মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে বলেও জানান আরএমও। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের দাগ দেখা গেছে।
এদিকে, সোমবার বিকালে অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান আটকের সময় ইউসুফের হাতে থাকা বেশ কয়েকটি ইয়াবা খেয়ে নেয় সে। অন্যদিকে, নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল-মামুন বলেন, পুলিশ কোনো নির্যাতন করেনি। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর হাতে থাকা কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতেই সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) সারোয়ার হোসেন জানান, ইউসুফ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।