মুক্ত হলেন মুজিব ও গাড়ী চালক সোহেল
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব ও তার গাড়িচালক রেজাউল হক সোহেলকে সুনাগঞ্জের বৃহস্পতিবার আদলতে হাজির করা হয়। ১৮ আগস্ট গাজীপুর থেকে উদ্ধারের পর পুলিশের হেফাজতে ছিলেন তারা। টানা ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকালে তাদেরকে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামকান্ত সিনহা’র আদলতে হাজির করে জবাববন্দি গ্রহণ করা হয়।
বহুল আলোচিত এ অপহরণ ঘটনায় তাদের দু’জন উদ্ধারের পর আদালতে নিয়ে আসার খবরে আদালত আঙ্গীনায় ভীড় করেন গণমাধ্যম কর্মীরা। তবে নিরাপত্তা ও তদন্তের স্বার্থের কথা বলে তাদেরকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাদেরকে নিজ জিম্মায় পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মুজিব ও গাড়ি চালক সোহেলকে আলাদা আলাদা করে ম্যাটিস্ট্রেটের সম্মুখে হাজির করে জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। অপহরণ ঘটনা সম্পর্কে তারা আদালতে কী ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তা জানা যায়নি।
মুজিব অপহরণের ঘটনার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার জানান, তদন্তের স্বার্থে মুজিব ও তার গাড়িচালক সোহেলের দেয়া জবানবন্দি এই মুহূর্তে তদন্তের স্বার্থে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তাদের দু’ জনের বক্তব্যেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।
তবে একটি সূত্র জানায়, মুজিব ও তার গাড়িচালক সোহেল আদালতের সম্মুখে অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে। সুরঞ্জিত তালুকদার আরও জানান, বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যম্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপর রয়েছে পুলিশ। এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকালে সুনামগঞ্জে ২০ দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্ম শাহজাহান সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে পুলিশের হেফাজতে রেখে অপহরণের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় অবশ্যই নিয়ে আসতে হবে। প্রসঙ্গত, উদ্ধারের পর মুজিব দাবী করেন, পুলিশের পরিচয়ে সিলেটের টুকেরবাজার থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছিল। ৬ মে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব ও গাড়িচালক রেজাউল হক সোহেল।