শিশু ইমন খুনের ঘটনায় পাবনা থেকে সৎ মা গ্রেফতার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সৎ ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছে শিশু ইমন। ঘাতক শামীম আহমদ মাজার জিয়ারতের কথা বলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এ শিশুটিকে সিলেটে নিয়ে এসেছিল। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক শামীম আহমদের মা শিল্পী বেগমকে আটক করেছে। দক্ষিণ সুরমার টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শফিকুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বিসমিল্লাহ হোটেলের ৩০৩ নম্বর কক্ষে গত শনিবার ভোরে খুন হয় ইমন।
সৎ ভাই শামীম বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। নিহত ইমন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাটুয়ারা থানার জগন্নাথপুর গ্রামের প্রিন্টিং মিস্ত্রি ঠিকাদার মকবুল হোসেনের পুত্র।
এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের একটি টিম রোববার বিকেল ৫ টার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার জয়রামপুর গ্রাম থেকে শামীমের মা শিল্পী বেগমকে (৪০) গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন বাটুয়ারা থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখানে নিহতের পরিবার ঘাতকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এস আই) শফিকুল ইসলাম খান জানান, ঘাতক শামীম তার স্ত্রীকে বিয়ের পর থেকে নির্যাতন করে আসছিল। এ কারণে স্ত্রী শিশু সন্তানকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যান। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে সে পিতা মকবুল হোসেনের স্মরণাপন্ন হয়। কিন্তু, এতে তার পিতা অপারগতা প্রকাশ করেন।
এর জের ধরে শামীম মাজার জিয়ারতের কথা বলে ইমনকে সিলেটে বেড়াতে নিয়ে আসে। ইমনকে নিজের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে গত শনিবার সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটে বিসমিল্লাহ হোটেলের ৩০৩ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেয়। সকাল ১০টার দিকে বোর্ডিং থেকে শামীমকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। দুপুর ১২টা পেরিয়ে গেলেও শামীম ফিরে না আসায় হোটেল বয় ওই কক্ষে গিয়ে কক্ষ তালাবদ্ধ দেখতে পান। এ সময় ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি মেরে সে দেখতে পায় ইমন অজ্ঞান অবস্থায় ভেতরে পড়ে আছে। পুলিশের একটি টিম বোর্ডিংয়ে পৌঁছে হোটেলের অপর চাবি দিয়ে দরজা খুলে ইমনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে খবর পেয়ে সিলেট সিআইডি’র ক্রাইম সিনের একটি টিমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এদিকে,ময়না তদন্তশেষে ইমনের লাশ রোববার বিকাল ৪টার দিকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্বজনরা তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।