ছাতকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ : আহত অর্ধশতাধিক

chatak-picছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকের পল্লীতে মসজিদের ডোবা-জমি লিজকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আকবার (৩০) নামের এক যুবক নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ২৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। বৃহস্পতিবার সকালে ভাতগাঁও ইউনিয়নের হাসামপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আলা মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য আছকির আলী পক্ষদ্বয়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকবার একই গ্রামের মৃত আবদুল্লাহর পুত্র।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে হাসামপুর-কেওয়ালীপাড়া একতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মসজিদের ডোবা-জমি লিজ দেয়া নিয়ে গ্রামবাসির এক বৈঠকে আলা মিয়া পক্ষের সাহারুল নামের এক ব্যাক্তির আপত্তিকর বক্তব্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও পুলিশের মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার সালিশ-বৈঠকে নিষ্পত্তির লক্ষে উভয় পক্ষের সম্মতি নেয়া হয়। কিন্তু বৈঠকের আগেই বৃহস্পতিবার সকালে আলা মিয়া পক্ষের লোকজন কৈতক-হায়দরপুর সড়কে প্রতিপক্ষের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে ডাকাডাকি করলে উভয় পক্ষ তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রাদি ব্যবহার করা হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আছকির আলী পক্ষের আকবার ঘটনাস্থলেই নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয় । গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত সেফুল মিয়া(৩০), নাসির উদ্দিন(৫০), ইউসুফ উদ্দিন (২৫), মজনু মিয়া (৪৯), আছকির আলী(৫৫), জামাল উদ্দিন (৪৮), সাজ্জাদ মিয়া (৪২), ওয়াসির মিয়া (৫০), গয়াছ মিয়া (৪৫), সাবাজ মিয়া (২৮), লতিফ মিয়া (৫০), আনহার মিয়া (৩০), সূফি মিয়া (৫০), ধন মিয়া (৫২), লেছু মিয়া (৪০), মোয়াজ্জিন জালাল উদ্দিন (৪০)সহ অন্তত ২৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্তার হোসেন (৩২), দরাছ মিয়া (৬০), একরাম হোসেন (৩০), জয়নূল করিম (২০), ইমান উদ্দিন (২২)সহ অন্যান্য আহতদের কৈতক ও জগন্নাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাউয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই কামরুল হোসেন ও এএসআই মলাই মিয়া ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেছে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহজালাল মুন্সি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।