বিশ্বনাথের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : নিমজ্জিত ফসলের মাঠ : দুঃচিন্তায় কৃষক
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ গত কয়েক দিন ধরে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ধারাবাহিক ওই বর্ষণে তলিয়ে গেছে বিশ্বনাথের নিম্নাঞ্চল। প্রায় সাড়ে তিন থেকে চারশত হেক্ট্রর জমিতে লাগানো ধানের চারা তলিয়ে গেছে। এনিয়ে কৃষকের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দুই তিন দিনের মধ্যে পানি না কমলে আমন ফসল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা রয়েছে কৃষকরা। কিছু কিছু এলাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধানের চারা পচে গেছে। অল্প সংখ্যক কৃষক দ্বিতীয় বারের মত পানি কমলে উদিৃত্ব চারা দিয়ে জমি রোপন করতে পারবেন তবে বেশীর ভাগ কৃষকের এ ব্যবস্থা না থাকায় আমন ফসল থেকে কি বঞ্চিত হবেন। এনিয়ে কৃষকরা রয়েছেন দুঃচিন্তায়। অগ্রহায়ন মাসের ফসল গোলায় না তুলতে পারলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বেশী।
গতকাল সরেজমিনে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের তিলকপুর, হাজরীগাঁও, সোনাপুর, আতাপুর, মঙ্গলগীরি, সৎপুর মাহতাবপুর, ইশবপুর, মুন্সিরগাঁও, দূর্লবপুর, জাগিরালা, মির্জারগাঁও, বিশ্বনাথ ইউনিয়নের পশ্চিম শ্বাসরাম খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কর্মকলাপতি, রহিমপুর, গুমরাকুল, কাইমগঞ্জ, ইসলামপুর, গ্রাম ও ইকরাম বিলসহ আমন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু পানি আর পানি। জমিতে রোপন করা চারা দেখা যাচ্ছে না। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থা লামাকাজি ইউনিয়নের প্রায় গ্রামের।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে বিশেষ করে লামাকাজি এলাকার নিমজ্জিত ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুল হক, কৃষি কর্মকর্তা মো. খায়রুল আমিন, প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাছিরউদ্দিন, মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বণিক, বিআরডিবি কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম।
এদিকে উপজেলার বিশ্বনাথ, খাজাঞ্চী, অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর, দেওকলস, দশঘর ইউনিয়নের বিশেষ করে নিম্মাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। জমিতে লাগানো ধানের চারা রয়েছে পানির নিছে। ওই সাতটি ইউনিয়ন মিলে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে লাগানো চারা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খায়রুল আমিন বলেন, উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের বেশীর ভাগ জমিতে লাগানো চারা পানিতে তলিয়ে গেছে। দুই তিন দিনের ভিতরে পানি না কমলে ধানের চারা নষ্ঠ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।