মোগলাবাজারে স্ত্রী-সন্তানকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা : ঘাতক গ্রেফতার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে এক পাষন্ড তার স্ত্রী ও তিন বছরের শিশু সন্তানকে পানিতে চুবিয়ে নির্মমভাবে খুন করেছে। স্থানীয় জনতা ঘাতক গৃহকর্তাকে গৃহবন্দি রেখে পুলিশে দিয়েছে। উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন ইনাত আলীপুর গ্রামে সোমবার দুপুরে এ নৃসংশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে । নিহতরা হলেন আকলিমা বেগম (২৪) ও তার তিন বছরের ছেলে জনি মিয়া। স্ত্রী ও সন্তান হন্তারকের নাম নুনু মিয়া (৩০)। সে ইনাত আলীপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।
খবর পেয়ে বিকেল সোয়া চারটায় মোগলাবাজার থানা পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার ও নুনু মিয়াকে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থলে থাকা মোগলাবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ দু’টি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘নুনু মিয়া সকাল দুপুরে তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে বাড়ির পাশ্ববর্তী হাওরের পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর লাশ দু’টি ঘরে এনে রাখে।’ এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে লোকজন তার বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জনতার ঘেরাওয়ে থাকা ঘর থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার ও নানু মিয়কে আটক করে।’
নিহত আকলিমার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী জানান, বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ ছিল। অসংখ্যবার স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে সে। একারণে দেড় বছর আকলিমাকে তার পিত্রলয় মোগলাবাজারের কটালপুরের উত্তরভাগ গ্রামে আটকে রাখা হয়। তিনি তার বোন ও ভাগ্নে হত্যাকারী ভগ্নিপতির দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ইনাত আলীপুর গ্রামের আবদুল আলী বলেন, ‘দুপুরে নুনু মিয়াকে তার বাড়ির পাশ্ববর্তী হাওর থেকে স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে সন্দেহ হয়। বিষয়টি গ্রামে জানালে গ্রামের লোকজন তার বাড়ি ঘেরাও করে ঘরে ভেতর স্ত্রী ও শিশু সন্তানের লাশ সামনে নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। এসময় খবর দেয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ দু’টি উদ্ধার ও নুনু মিয়াকে আটক করে।’
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান জানান, উদ্ধারের পর লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।