নৌকাবাইচ ঘিরে সুরমার তীরে প্রাণের স্পন্দন
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ বৃষ্টি উপেক্ষা করেও সিলেট বিভাগীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ৭ম বারের মতো সিলেটের ক্বীনব্রীজের নিচে সুরমা নদীতে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলা লিংক। ‘নৌকা বানাইয়া দিল সুজন মিস্তরী, ময়ুর পংখি নায়েরে আপনি কান্ডারী’ অথবা ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইলো কেমন দেখা যায়, ঝিলমিল ঝিলমিল করেরে ময়ূর পংখি নায়’ জনপ্রিয় এরকম নানা গানের সুর, করতালের ঝনঝনানি আর দর্শকে করতালিতে মুখর হয়ে ওঠেছিল সিলেটের ক্বীনব্রিজ সংলগ্ন সুরমা নদীর তীর। নদীর দুইপারের দর্শকদের মূর্হুমূর্হু করতালির সঙ্গে হেলে দুলে এগিয়ে চলছিল না রঙের নৌকো।
এ উপলক্ষে রোববার দুপুর থেকে চাদঁনীঘাট এলাকায় ভিড় জমাতে থাকেন উৎসুক মানুষ। বৃষ্টিতে ভিজেও দুপুর আড়াইটায় নৌকা বাইচ উপভোগ করতে মঞ্চে উপস্থিত হন-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচ এক সময় হারিয়ে যেতে বসেছিল। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। এজন্য প্রতিবছর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে সিলেটের ক্বীন ব্রীজ এলাকা মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। মানুষের এ উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে হবে।
বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে বাংলালিংক ৭ম সিলেট বিভাগীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় আয়োজন করে। নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় তিনটি গ্রুপে ১২টি নৌকা অংশ গ্রহণ করে। এ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হন কোম্পানীগঞ্জ পুটামারার এখলাছুর রহমান। বি গ্রুপে সাইদুর রহমান ও সি গ্রুপে আতাউর রহমান চ্যাম্পিয়ন হন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন আনোয়ার হোসেন সাজু, মোবারক হোসেন, নাহিদুর রহমান রায়হান, ইমরানুর রহমান প্রমুখ।
প্রতিযোগীতায় উপস্থিত থেকে নৌকা বাইচ উপভোগ করেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, বাংলালিংকের আশিক ইকবাল ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ।