বালাগঞ্জে এক ভূমি কমকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ

bhumi officeএসএম হেলাল, বালাগঞ্জ:বালাগঞ্জ উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবদুল মছব্বিরের বিরুদ্ধে ভূমির খাজনা পরিশোধ এবং তদন্ত রিপোর্ট দাখিলে ঘুষ দাবির একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়ারও ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসার লোকদের সাথে খারাপ আচরণেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আনিত অভিযোগ মিথ্যে দাবি করেছেন এই ভূমি কর্মকর্তা।
জানা যায়, তাজপুর ইউপির রবিদাশ মৌজায় প্রায় দেড় একর দানকৃত ভুমি খেলার মাঠ, গো চারণ ভূমি ও গোবিন্দ ঝিউরতলা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে এলাকাবাসী। উক্ত ভূমি নামজারির জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরারবে আবেদন করেন এলাকাবাসী। কর্তৃপক্ষ ভূমিটি সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তাজপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রেরণ করে। কিন্তু তদন্ত পরবর্তী সময়ে প্রতিবেদন দালিখের জন্য আবদুল মছব্বির ৫০হাজার টাকা করেন মর্মে এলাকার রূপা মিয়া নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। এব্যাপারে গত ২২ জুলাই সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তিনি।
গোয়ালাবাজার ইউপির ইলাশ পুর গ্রামের ডিকে জয়ন্ত নামের এক ব্যক্তি জানান, জমির খাজনা পরিশোধ করতে গেলে আবদুল মছব্বির ৫৫হাজার টাকা দাবি করেন। অন্য এক কর্মকর্তা খাতাপত্র দেখে ২৫ হাজার টাকায় খাজনা পরিশোধ করেন তিনি।
একই ইউনিয়নের গ্রামতলা গ্রামের আবদুল গফফার তার বোনের নামে ক্রয় করা ৬ শতক কৃষি জমির খাজন পরিশোধ করতে গেলে আবদুল মছবিবর ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এত বেশী টাকা চাওয়ার কারণে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে গফফার ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে জায়গার বিক্রেতা গোয়ালাবাজার বাজার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী তাজউদ্দিন গিয়ে এত টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে খাজনার পরিমান কমে মাত্র ৭’শ টাকায় নেমে আসে।
তাজপুর ইউনিয়নের ভাড়েরা গ্রামের আবদুল জহুর নামের এক ব্যক্তি ১৩ শতাংশ কৃষি জমির খাজনা পরিশোধ করতে গেলে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন মছব্বির। বেশী টাকা শুনে অন্য এক ব্যক্তিকে নিয়ে গেলে মাত্র ১হাজার টাকায় খাজনা পরিশোধ হয়।
অভিযোগকারী রূপা মিয়া বলেন, ঘূষ চাওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছি। এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তাজ উদ্দিন, ডিকে জয়ন্ত, আবদুল গফুরসহ এলাকার অনেক ভুক্তভোগী জানান, জমির খাজনা পরিশোধে এবং ভূমির নামজারির রিপোর্ট দিতে মছব্বির বড় অংকের টাকা দাবি করেন। ঘুষ ছাড়া তার কাছে কোন কাজ হয়না। মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করারও অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া কোন তদন্ত কাজে যেতে হলে ভাল যানবাহন ছাড়া যাননা বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কর্মকর্তা আবদুল মছব্বির বলেন, কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযোগ গুলো মিথ্যে ও বানোয়াট।