প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

moulvibazarসুরমা টাইমস ডেস্কঃ তিনি প্রধান শিক্ষক ? নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের সাথে তিনি যৌনাবেদনময় আলাপে নিজেকে তৃপ্ত করার চেষ্টা করেন এমন অভিযোগ ভুক্তোভোগি শিক্ষার্থীদের। প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণে ছাত্রীরা লজ্জিত ও বিক্ষুব্ধ হলেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাহস নেই কারো। ভয়ে ও লজ্জায় কোন শিক্ষার্থী এ ঘটনা অভিভাবকের কাছে জানাতে চাইতো না।
দীর্ঘদিন থেকে ক্লাসে এমন অশ্লীল, অশ্রাব্য ও কুৎসিত খিস্তি খেউড় শুনতে শুনতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকের কাছে বিষয়টি জানাতে বাধ্য হয়। এরপর অভিভাবক শিক্ষার্থীসহ এলাকার গণ্যমান্যরা ফুঁসে উঠেন এই যৌন নিপীড়ক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের নাম মুজাহিদুল ইসলাম।
কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারস্থ জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে তাঁর কর্মস্থল। নিয়োগ পেয়েছেন বছর দু’এক হলো। তাঁর পূর্ববর্তী কর্মস্থল ছিল একই উপজেলার ভূকশিমইলস্থ বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ে।
অভিযোগ রয়েছে- ওই প্রধান শিক্ষক তার বড়ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রভাব খাটিয়ে ওই স্কুলে নিয়োগ পান। স্কুলটিতে তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্কুলটির স্কাউটিং, খেলাধুলা ও লেখাপড়ার মান প্রতিনিয়ত কমতে থাকে। এমনটিই জানালেন, স্কুলটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সোমবার প্রধান শিক্ষকের যৌন হয়রানির প্রতিবাদে স্কুল ক্যাম্পাস ও ব্রাহ্মণবাজারের প্রধান সড়কে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন আন্দোলনের খবর পেয়ে সোমবার দুপুর থেকে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা স্কুল প্রাঙ্গনে ভীড় জমান।
একপর্যায়ে গভর্নিং বডি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও স্কুলে ছুটে যান এবং আন্দোলনরত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
এসময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম বেরিয়ে এসে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে তিনি তার কক্ষে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৭ আগস্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন তদন্তকালে বিভিন্ন ক্লাস পরিদর্শন করলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগের সত্যতা পান।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি অভিযোগ পেয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আমিও স্কুলটি পরিদর্শন করেছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আপোসে সমাধান হয়ে গেছে।