চাকরির প্রলোভনে রাতভর গনধর্ষন
জামিনে বেরিয়ে এসে আসামীরা বেপরোয়া
সুরমা টাইমস রিপোর্ট: চাকুরীর প্রলোভনে ঢাকায় নিয়ে এসে যুবতীকে গনধর্ষনের মামলায় আসামীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতাকে প্রানে মারার হুমকি সহ নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগে জানা যায়, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার মানিকখালি গ্রামের জনৈক গরীব কৃষকের মেয়ে অঞ্জনা’র (ছদ্মনাম) চাচার সাথে ব্যাবসায়িক পরিচয় ঘটে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ফারুক ইবনে আম্বিয়া (আলমগীর), বাবর ওরফে চিতা বাবর ও শাহপরান মাজার সংলগ্ন সৈনিক রেস্টুরেন্টের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জুবায়ের আহমদের। পরিচয়ের সূত্র ধরে অঞ্জনাকে সুন্দরবন কুরিয়ার সাভিসের মতিঝিল শাখায় ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২০১০ সালের ৩১ মে ঢাকায় নিয়ে এসে ৩৩/১ উত্তর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসায় নিয়ে রাতভর গনধর্ষন করে জুবের বাহিনী। জানা যায়, জুবের ২০১০ সালের ১লা জুন অঞ্জনাকে চাকুরীতে যোগদান করানোর কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসে। সদরঘাট থেকে নিয়ে আসে যাত্রাবাড়ীর একটি বাসায়। সেখানে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে ছিল আলমগীর ও চিতা বাবর। রাত আনুমানিক ১০:৩০ টার দিকে জুবের অঞ্জনাকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে রাতের খাবার পরিবেশন করে অঞ্জনাকে কুপ্রস্তাব দেয় জুবের ও তার সঙ্গীয় আলমগীর ও চিতা বাবর। বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে জুবের এক পর্যায়ে অঞ্জনাকে মূল বিষয় খুলে বলে এবং তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে জোরপূর্বক ধর্ষন করে বিদেশে পাচার করে দেবে বলে জানিয়ে দেয়। অঞ্জনা কোনমতেই তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে জুবের, আলমগীর ও বাবর জোরপূর্বক অঞ্জনাকে পালাক্রমে রাতভর ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে অঞ্জনা অঞ্জান হয়ে পড়লে জুবের বাহিনী পালিয়ে যায়। অত:পর ভোরে জ্ঞান ফিরলে অঞ্জনার শোর চিৎকারে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করায়। যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা না নেয়ায় পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন আদালতে মামলা করেন অঞ্জনা। আদালত ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নেন। বর্তমানে এই মামলায় ধর্ষকেরা জামিনে থাকলেও মামলা তুলে নেয়ার জন্য অঞ্জনা ও তার পরিবারকে অব্যাহত হুমকি প্রদান করে আসছে বলে জানা গেছে।