নবীগঞ্জে পাওনা টাকা আদায়ে কাপনের কাপড় গায়ে অনশন
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ ৮ লাখ টাকা পাওনা আদায়ের জন্য পিতা, মাতা, দুইভাই কাপনের কাপড় নিয়ে অনশন করার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা – সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার সঈদ পুর বাজার চৌমুহনীতে। প্রত্যক্ষদর্শী সূএে জানা যায় নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের আব্দুর রহমান (৬০) প্রায় দেড় বছর পূর্বে তার ছেলে মোঃ সাজু কে এক/দেড় মাসের মধ্যে ব্রাজিল পাঠানোর জন্য একই গ্রামের আব্দুল মোহিতের ছেলে ব্যবসায়ী রাজমহল সুইটের মালিক সিরাজুল ইসলাম ও তার ছেলে অপুর কাছে বিভিন্ন কিস্তিতে এগার লাখ টাকা প্রদান করেন। দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর সাজুর পিতা আব্দুর রহমান সিরাজুল ইসলামকে তার ছেলেকে ব্রাজিল পাঠানের চাপ দেন । কিন্তু সিরাজুল ইসলাম কাল ক্ষেপন করতে থাকে।এক পর্যায়ে তাদের চাপের মুখে প্রায় ৭ মাস পর সাজুকে ভ’য়া একটি ভিসা লাগিয়ে ব্রজিল পাঠায়। পথিমধ্যে আজের্ন্টিনা এয়ারপোটে ইমিগ্রেসন হলে তার ভিসা জাল প্রমানিত হলে সাজুকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয় । দেশে ফেরত আসার পর সাজু তার পিতাকে নিয়ে সিরাজুল ইসলাপমের বাড়িতে গিয়ে সাজু ফেরত আসার কারন জিঞ্জেস করলে কোন সদুত্তর দিতে না পেরে ২ মাসের ভিতরে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেয়। সময় অতিবাহিত হবার পর আব্দুর রহমান টাকা আনতে গেলে টাকা দিতে সিরাজুল ইসলাম কাল ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে সাজুর পিতা গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের স্বরনাপন্ন হলে কয়েকটি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখে সিরাজুল ইসলাম ৩ লাখ টাকা সাজুর পিতার কাছে প্রদান করে। আজ হতে প্রায় ১ বছর যাবত বাকি ৮ লাখ টাকা দেই দিচ্ছি বলে সময় নিচেছ। আজ শুক্রবার টাকা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল বিধায় সাজুর পিতা সিরাজুল ইসলামের কাছে টাকা ছাইতে গেলে সিরাজুল ইসলাম পাওনা টাকা অস্বিকার করলে নিরুপায় হয়ে আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী সহ ছেলে সুলতান এবং সাজু কাপনের কাপড় পরে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কসস্থ সঈদ পুর বাজারে সিরাজুল ইসলামের দোকান রাজমহল সুইটের সামনে বিকেল ৫টায় অনশন শুরু করেন। অনশনের খবর পেয়ে প্রায় আধা পর সস্থানীয় আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দিলাওর হোসেন ও সদস্য সাইদুর রহমান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমান এলাকার মুরব্বী এসে বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দিলে তারা অনশন ভঙ্গ করে।