গাজায় ফের জাতিসংঘ স্কুলে হামলা, নিহত ১০

gazaসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ফিলিস্তিনের গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত আরেকটি স্কুলে হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছে ইহুদীবাদী ইসরাইল। ইসরাইল গাজার রাফায় রবিবার এই বিমান হামলা চালায়। জাতিসংঘের এই স্কুলে ইসরাইলি আগ্রাসনে গৃহহারা সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।
এ নিয়ে শুধুমাত্র রবিবার বর্বর ইসরাইলের হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছে। জবাবে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ যোদ্ধা হামাস ইসরাইলে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘের স্কুলে হামলার বিষয়ে ইসরাইলের সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তারা বলেছে, এ ধরনের স্কুলে হামলার বিষয়ে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র ক্রিস গানিস হামলার খবর নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আরো নিশ্চিত করছি যে, হামলায় অসংখ্য মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। নিরস্ত্রদের ওপর হামলা করে এখানে যে পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে তা বর্ণনা করা অসম্ভব।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কিদরা বলেছেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবেই হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
তিনি জানান, গাজায় এবার ইসরাইলি আগ্রাসনে ৩৬টি অ্যাম্বুলেস আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। হামলায় ১০২ জন মেডিকেল স্টাফ আহত হয়েছেন এবং ১৯ জন নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার এই রাফা থেকেই নিখোঁজ হন সেনা সদস্য হার্দার গোলডিন। রবিবার সকালে অভিযানে তার নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করার পরেই ইসরাইল রাফায় এই হামলা চালালো। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানিয়েছে, রাফার জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে বিমান হামলায় ৯ জন এবং অপর এক অভিযানে ১০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জাতিসংঘ পরিচালিত দ্বিতীয় স্কুলে এ ধরনের হামলা চালালো বর্বর ইসরাইল।
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ১ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯ হাজার ২১২ জন। ধ্বংস্তস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। প্রায় আড়াই লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩৯৮ জন শিশু ও ২০৯ জন মহিলা রয়েছে। বিপরীতে ইসরাইল তাদের ৬৪ জন সেনা সদস্য এবং তিনজন বেসামরিক লোক নিহতের কথা স্বীকার করেছে। যদিও হামাস দাবি করেছে তারা দেড় শতাধিক ইসরাইলি সেনা হত্যা করেছে।