ঈদে ব্যতিক্রম কারিকোনা গ্রাম : শত বছরের পুরনো ঐতিহ্য
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ ঈদ মানে আনন্দ। খুশি, আলাদা দিন, দিবস। সবাই চায় দিনটি সুন্দর কাটুক। অনেকের অনেক পরিকল্পনা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সালাম দেয়া। ঈদের আলাদা খাবার খাওয়া। আত্বীয়-স্বজন ও বিভিন্ন পার্কে ঘুরে বেড়ানো। কিন্তু এর থেকে আলাদা প্রবাসী অধূষ্যিত বিশ্বনাথের কারিকোনা গ্রাম। গ্রামবাসি মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদের দিন জামাত শেষে মসজিদে বসে খাবারের ব্যবস্থা করেন। গ্রামের প্রতিটি ঘর থেকে আসে খাবার। বিতরণ করা হয় বড় ও ছোটদের মধ্যে। এতে আনন্দ পায় সবাই। গরুর মাংস, খাশি, মোরগ ও সাদা ভাত নিয়ে আসার পর আলাদা আলাদাভাবে রাখা হয়। পরে বিতরণ করা হয় সবার মধ্যে। এ প্রথা শত বছরের পুরনো। আজও এ ধারা অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মো. আবদুল বারী বলেন, শত বছরের পুরনো ঐতিহ্য। এতে আলাদা আনন্দ পায় সবাই। এ ধারা বর্তমানেও অব্যাহত আছে। ভবিষৎ তে থাকবে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আশক আলী মেম্বার বলেন, দীর্ঘ একযুগ পরে মসজিদে এসে শিরনী খেতে পারলাম। এতে যে আনন্দ পেলাম। ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তিনি বলেন, এবছর অনেক প্রবাসী এসেছেন তারাও শরীর হয়ে মজা পেয়েছেন।
মাসিক বিশ্বনাথ ডাইজেস্ট সম্পাদক ও বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, শত বছরের পুরনো ঐতিহ্য। গ্রামবাসি এক সাথে শিরনী খেতে পারায় বিষন খুশি হন। অনেক প্রবাসী ও আশপাশ এলাকার লোকজন অংশ নেন উৎসবে। তিনি বলেন, অনেকে রোগব্যধি থেকে মুক্তি পেতে শিরনী আসেন কারিকোনা জামে মসজিদে।