বিয়ের দাবিতে অবস্থান, ঘরে তালা দিয়ে প্রেমিক উধাও
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিয়ের দাবিতে এক প্রেমিকা তার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান শুরু করেছেন। এ ঘটনার পর প্রেমিকের বাড়ির লোকজন ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে উধাও হয়েছে। গত শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের গোড়াই নাজিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই প্রেমিকা ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে একই এলাকার রাকের টেকি গ্রামের তোতা খানের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে নাসরিন সুলতানার সাথে নাজিরপাড়া গ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বেশ কিছুদিন ধরে মেয়েটি তার প্রেমিক শাহীনকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু সে তাতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে গত ৯ জুলাই বুধবার রাতে ওই প্রেমিকাকে শাহীন তার বাড়িতে আসার জন্য বলে। তার কথামত সে বাড়িতে আসলে শাহীনের অভিভাবকেরা মেয়েটিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। কিন্তু সে বিয়ের দাবিতে অনড় থাকে। স্থানীয় মাতব্বররা পরদিন বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে সে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক মাতব্বরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
এদিকে দীর্ঘ ৯ দিন পরও বিয়ের বিষয়ে কোন সুরাহা না হলে গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে এক গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বৈঠকেও বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় সকালে মেয়েটি তার প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে পুনরায় অবস্থান শুরু করে।
বিকেলে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মেয়েটি তার প্রেমিকের তালাবদ্ধ ঘরের সামনে বসে আছে। বাড়ির লোকজন ঘরে তালা মেরে উধাও হয়ে গেছে। এ সময় কথা হলে ওই মেয়েটি জানায়, প্রায় তিন বছর আগে হাটুভাঙ্গা বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে তাদের সাথে পরিচয় ও পরে সম্পর্ক হয়। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শাহীন তার সাথে অনৈতিক সম্পর্কও গড়ে তুলে। কিন্তু সম্প্রতি তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে সে তাতে অস্বীকৃতি জানায়। মেয়েটি আরো জানায়, শাহীন যতক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে তাকে ঘরে না তুলবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে ওই বাড়িতেই অবস্থান করবে।
এ ব্যাপারে প্রেমিক শাহীনের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা সোহরাব মিয়া বলেন, ছেলে তাকে বিয়ে করবে না তারপরও সে বাড়িতে অবস্থান করছে। নারী মানুষ, যাতে কোন ঝামেলা না হয় সেজন্য ঘরে তালা মেরে তারা বাড়ির বাইরে চলে এসেছেন। তবে তিনি কোথায় আছেন তা জানাননি। তাছাড়া মেয়েটিকে কোন প্রকার নির্যাতন করা হয়নি বলেও তিনি জানান।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।