অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কোবাদ আলী
হাইকোর্টের নির্দেশ মানছেনা সামাজসেবা অধিদপ্তর
অহী আলম রেজাঃ আজ থেকে ১৪ মাস আগে বকেয়া বেতন-ভাতাসহ ক্ষতিপুরণের অর্থ পরিশোধের আদেশ দিয়েছিলেন মহামান্য হাইকোর্ট। সমাজসেবা অধিদপ্তরকে একমাসের মধ্যে ওই টাকা ও ক্ষতিপুরণ দিতে বলা হয়। কিন্তু ১৪ মাসেও টাকা পরিশোধ করেনি সমাজসেবা অধিদপ্তর। হাইকোর্টের আদেশকে উপেক্ষা করে নানা টালবাহানা করছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সত্তরোর্ধ কোবাদ আলী। মানবেতর জীবন যাপন করছেন এক সময়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি কোবাদ আলী। অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তিনি আজ। কবে টাকা পাবেন এই অপেক্ষা যেনো শেষ হচ্ছেনা। বয়সের ভারে ন্যুজ কোবাদ আলী অনাহারে অর্ধাহারে দিনানিপাত করছেন। প্রায়ই ধর্ণা দিচ্ছেন সমাজসেবায়। কেউ তাকে সহযোগিতা করছেন না।
জানা যায়, দক্ষিণ সুরমায় হাজরাই গ্রামের কোবাদ আলী ১৯৭৩ সালে সিলেট সমাজ সেবা অফিসে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি পদে নিয়োগ পান। বিভিন্ন সময়ে তিনি নগরীর রায়নগরের শিশু সদন, বাগবাড়ি সেইম হোম ও সর্বশেষ শেখঘাট বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুলে এ পদে চাকরি করেন। এর পরে কোবাদ আলীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু বেতনের জন্য সমাজসেবা অফিসে বারবার ধর্না দেওয়ার পরও তিনি বঞ্চিত হন। পরে কোবাদ আলী মহামান্য হাইকোর্টে ১০ লাখ টাকা তিপূরণ দাবি করে রিট পিটিশন করেন। পিটিশন নম্বর ১০৫৯। মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও এডভোকেট সামসুদ্দোহা তালুকদার। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারপতি তারি উল হাকিম ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গত বছরের ১৮ এপ্রিল রায় ঘোষনা করেন। রায়ে ২০০৯ এর চাকরি বিধি অনুযায়ী বেতন ভাতা ও ক্ষতিপূরনসহ ৬ লাখ ৭৬ হাজার ২শ ৫৮ টাকা তেতাল্লিশ পয়সা প্রদানের জন্য সমাজসেবা অফিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ের এক বছর অতিবাহিত হলেও কোন পদক্ষেপই গ্রহন করছেনা সিলেট সমাজ সেবা অফিস। এ ক্ষেত্রে আদালতের রায়কে অবমাননা করা হচ্ছে বলে জানান আইনজীবীরা।
এ ব্যাপারে সিলেট সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আবুল কালাম বলেন, কোবাদ আলীর পক্ষে মহামান্য আদালত রায় দিয়েছেন্। তার পক্ষে মন্ত্রনালয়ে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রনালয় থেকে নির্দেশ আসলেই বেতন ভাতাসহ তিনি ক্ষতিপূরন পাবেন।