তাহিরপুরে বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের অপসারনের দাবিতি বিক্ষোভ
মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর গন স্বক্ষরিত একটি সারকলপি
কামাল হোসেন,তাহিরপুরঃ রক্ষকই যখন ভক্ষক, তখন যুগযুগ ধরে অসহায় থেকে যায় সাধারণ জনগন। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটার পাড় কেটে বালি উত্তোলন ও বিক্রি করা প্রশাসনিকবাভে দন্ডনিয় অরাধ প্রশাসন এমন ঘোষনা করলে স্থানীয় বিজিবির লাউড়েরগর সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার নুরুল ইসলাম রাতের আধারে বালি চরের পার কেটে বালি বিক্রির করছে এমন অভিযোগ করে তার অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ওই এলাকার ৮/১০ গ্রামের ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্ব স্তরেরর জনগন। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গতকাল দুপুরে লাউড়েরগড় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মুসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে লাউড়েরগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, লাউড়েরগড় আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুল মোতালেব, আবুবক্ক ও,আলী আসাদ প্রমুখ। পরে সমাবেশ শেষে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর গন স্বক্ষরিত একটি সারকলপি প্রদান করে। এবং প্রযোজনিয় ব্যবস্থ গ্রহনে সিলেট বিভাগীয় কমিশনা, সেক্টর কমান্ডা সিলেঠ, সুনামগঞ্জ-৮ বিজিবি অধিনায়ক, পুলিশ সুপার সুনামগঞ্জ, তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, তাহিরপুর নির্বাহী কর্মর্কতা ও স্থনীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অনুলিপি প্রদান করে। সারকলিপি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, বাংলাদেশের ওপাড়ে ভারতের খাসিয়া মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি নদী যাদুকাটায় প্রাকৃতিকবাভে পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা বালি পড়ে লাউড়েরগর বিজিবি ক্যাম্পের পশ্চিমে নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকা বিশাল বালি চরের সৃষ্টি হয়। ওই বালি চর লাউড়েরগড় বিজিি ক্যাম্পসহ সীমান্তবর্তী পুরান লাউড়,সাহিদাবাদ, মোকশেদপুর, ছড়ারপাড়, ঢালারপাড়সহ ৮/১০ টি গ্রামকে অকাল বন্যার ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার্ত্বে বিশাল বাধেঁর কাজ করে আসছে যুগযুগ ধরে। এবং যেখান থেকে ওই এলাকার হাজার হাজার দরিদ্র ও কর্মজীবি মানুষ বালির নিচ থেকে পাথর উত্তোলন ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু সম্প্রতি বিজিবির লাউড়েরগর সীমান্ত ফাঁিড়র ক্যাম্প কমান্ডা নায়েব সুবেদার নুরুল ইসলাম রাতের আধাঁরে এলাকার একটি মহলের সাথ সিন্ডিকেট করে ওই বালি চরের বাঁেধর পাড় কেটে বালি বিক্রি করছে। এমতাবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছে ওই এলাকার দরিদ্র লোজন। এভাবে বালি বিক্রি চলতে থাকলে দরিদ্র শ্রমজীবি লোকজনের জীবিকা নির্বাহের পথ বন্ধ হওয়া সহ ভাঙ্গনের মুখে পতিত হবে লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পসহ লাউড়েরগড়, পুরান লাউড়, সাহিদাবাদ, মোকশেদপুর, ছড়ারপাড়, ডালারপাড় গ্রাম। এবং মরুভূমিতে পরিনত হবে পরিনত হবে এ এলাকার হাজার হাজার আবাদী কৃষি জমি। এব্যপারে লাউড়েরগর সীমান্ত ফাঁিড়র ক্যাম্প কমান্ডা নায়েব সুবেদার নুরুল ইসলাম এর সাথে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, এখানকার লোকজন চোরাচালানি ও এই বালু চরের কাজ করতে না পাড়ায়( পাথর উত্তোলন করতে না পাড়ায়) একানে লোকজন আক্রোশ মূলকবাভে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমি কোন পাড় কেটে বালু বিক্রি করিনাই। এব্যপারে গতকাল বিকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে লাউড়েরগর সীমান্ত ফাঁিড়তে সুনামগঞ্জ-৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ র্কণেল খন্দকার গোলাম মহিউদ্দিন বৈঠকে বসলে তিনি ওই বালু চর থেকে বালু উত্তোলণ ও বিক্রয় বন্ধসহ এর সুস্থ্য সমাদানের আশ্বাস দেন।তাই ওই এলাকার হাজার হাজার সাধারণ জনগন অবিলম্বে বালি চরের পাড় কেটে বালি বিক্রি বন্ধসহ লাউড়েরগর সীমান্ত ফাঁিড়র ক্যাম্প কমান্ডা নায়েব সুবেদার নুরুল ইসলামের আপসারনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষে কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।