মাধবপুর তেলমাছড়া বন বিট এখনো অরক্ষিত

pic-madhabpur-08.07.2014-1মাধবপুর প্রতিনিধিঃ প্রয়োজনীয় উপকরন ও লোকবলের ঘাটতির কারণে অরক্ষিত রয়ে গেছে হবিগঞ্জের মূল্যবান বনবিট। মাধবপুরের তেলমাছড়া বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিরাই রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করায় হুমকির মুখে পড়েছে বনজ সম্পদ। প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা মূল্যবান বৃ কর্তন এবং বনজ সম্পদ চুরির ঘটনা। বনের গাছ চুরির পাশাপাশি বড় ধরনের অস্ত্রের চালান এমনকি হত্যা কান্ডের মত ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে এই বনাঞ্চলে। সাতছড়ি তেলমাছড়া দাগি অপরাধি ও চরমপন্থীদের আস্থানায় পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন রাতের আধারে ওই বনাঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পাতি নেতাদের সহযোগিতায় তাদের আত্মীয় স্বজনরা কেটে পাচার করছে। যার ফলে উক্ত এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে বনের বসবাস কারী বন্য প্রাণীরা। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় এবং বনাঞ্চলের আশেপাশের এলাকায় কর্তৃপরে অনুমোদন ছাড়াই অসংখ্য করাত কল গড়ে উঠার কারণে গাছ চোররা চুরাইকৃত গাছগুলো উক্ত করাতগুলোতে রেখে সময় ও সুযোগ মত ট্রাক ও ট্রাক্টরের সাহায্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। সাতছড়ি রেঞ্জের তেলমাছড়া বন বিটে বিশাল প্রাকৃতিক ও সৃজন করা বনজ সম্পদ রয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু বন রক্ষক ও রীদের পরো মদদে উক্ত বনাঞ্চল গুলোর গাছ কেটে বিলিন করে ফেলছে বনদস্যুরা।
এই বনভূমি এলাকয় বনরীদের নিজস্ব লোকবল না থাকায় এবং তারা গাছচোরদের সহযোগি হওয়ায় চুরি যাওয়া গাছের মোথা সাথে সাথেই বনরীরা সরিয়ে ফেলে। কারণ হিসেবে জিজ্ঞেস করলে স্থানীয় একাধিক চোরাকারবারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা এটা করে মূলত উর্ধ্বতন কর্তৃপকে ধোকা দেওয়ার জন্য। যদি কাটা গাছের গোড়া না থাকে তাহলে আর চুরির কোনো প্রমাণ নেই আর কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে হয় না। আর এসব চুরাই গাছ বিক্রির টাকার ভাগ পাচ্ছেন তেলমাছড়ার বন বিটের কর্মকর্তারা ও বনরীরা। ভাগের টাকা পকেটে ভরার কারণে বনরীদের ও বন কর্মকর্তাদের চোখের সামনে মূল্যবান গাছ পাচার হয়ে গেলেও তারা দেখেও না দেখার বান করে। বনরীদের বন রার জন্য নিয়োগ করা হলেও তারা টাকা খেয়ে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করায় হুমকির সম্মুখীন সাতছড়ির তেলমাছড়ার বনাঞ্চল। ছনবাড়ী বন ভূমিতে আগে অনেক মূল্যবান বৃ পাশাপাশি অনেক সেগুন গাছের অস্থিত্ব থাকলেও এখন সেখানকার গাছগুলো হাতে গোনা যায়। এভাবে গাছ পাচারের ধারা অব্যাহত থাকলে হয়তোবা অচিরেই উক্ত বনাঞ্চল তার নিজস্ব মর্যাদা হারাবে। পশু পাখির অভয়ারণ্য ও প্রাকৃতিক বনভূমিতে জীববৈচিত্র সংরনের নানা পদপে নেওয়া হলেও, রকরাই যখন ভকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তখন পদক্ষেপগুলো কতটুকু সফল হবে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।