আগস্ট থেকে করিডর ব্যবহার করবে ভারত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের করিডর ব্যবহার করবে ভারত। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সরবরাহের কাজে এই করিডর ব্যবহার করা হবে। মূলত আশুগঞ্জের নৌ ও স্থল পথ করিডরের কাজে ব্যবহৃত হবে।
পররাষ্ট্র, নৌ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দ্য রিপোর্টকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান দ্য রিপোর্টকে সোমবার বলেন, ‘ত্রিপুরায় খাদ্য পরিবহনের সঙ্গে আমাদের দেশের বেশ কয়েকটি সংস্থা জড়িত রয়েছে। নৌ ও সড়কপথের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা সংস্থা। খুব শিগগিরই আমরা সবগুলোর সংস্থার সাথে আলোচনায় বসে দিন তারিখ ঠিক করব।’
তিনি জানান, আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে ত্রিপুরায় খাদ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের করিডর ব্যবহার করা হতে পারে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সোমবার বিকেলে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ভারতকে আশুগঞ্জের করিডর ব্যবহার করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শিগগিরই ভারত খাদ্য সরবরাহের কাজে এই করিডর ব্যবহার করবে। এই বিষয়ে এখনও কাজ চলছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের স্থল ও নৌপথ ব্যবহার করে ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পাঠানো শুরু করবে উত্তর-পুর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায়। এ জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) কাজ করে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো ভারত বাংলাদেশের নদীপথ ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরাতে খাদ্যশস্য পাঠাবে। আর কয়েক দফায় এই খাদ্যশস্য পাঠানো হবে।
এর আগে ত্রিপুরার পালাটানায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারি সরঞ্জাম পরিবহনের ক্ষেত্রে দেশটি বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করেছিল।
চাল ও গম পরিবহনের জন্য ভারত এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের করিডোর ব্যবহার করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ত্রিপুরা রাজ্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য ভারত সরকারকে প্রতিমাসে গৌহাটি-আগরতলা রেলপথ ব্যবহার করে প্রায় ৩৩ হাজার মেট্রিক টন চাল ও গম পাঠাতে হয়।
দেশটির এই রেলপথের লামডিং ও বদরপুর শাখাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করার জন্য আগামী অক্টোবর থেকে প্রায় আট মাস এই রুট বন্ধ রাখা হবে। রেলপথ রূপান্তরের সময়ে খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতেই দেশটি বাংলাদেশের করিডর ব্যবহার করবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণারয় সূত্রে জানা গেছে, দুটি বার্জের (বড় ধরনের মালবাহী নৌযান) মাধ্যমে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাদা থেকে সমুদ্রপথে কলকাতা হয়ে আশুগঞ্জ নদীবন্দরে এই খাদ্যশস্য আনা হবে। পরে ছোট ছোট ট্রাকে করে সেগুলো পাঠানো হবে ত্রিপুরায়।