নবীগঞ্জে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় স্কুল শিক্ষিকা

নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জে ইভটিজার ও নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে মামলা করে চরম বিপাকে পড়েছেন ফয়জুন নামের এক স্কুল শিক্ষিকা। প্রতিপক্ষের লোকজনের প্রতিনিয়ন মামলা তুলে না নিলে হামলাসহ প্রাণে হত্যার ভয় দেখাচ্ছে। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ঐ স্কুল শিক্ষিকা ও তার পরিবারের লোকজন।
মামলার সুত্রে জানাযায়,নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর গ্রামের কায়াস্থ গ্রামের জহুর উদ্দিনের কন্যা এবং স্থানীয় ইমামগঞ্জ বাজার কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষিকা ফয়জুন বেগম দীর্ঘদিন যাবত ঐ স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছেন। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের মৃত কামাল মিয়ার পুত্র হারুন মিয়া(৩৫)প্রায়ই তাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উত্যক্ত করে আসছে। স্কুলে যাওয়ার পথে ফয়জুনকে একা পেয়ে হারুন ও তার সহযোগীরা টানা হেছড়া করে শ্লীলতা হানিও করে। ফয়জুন তার অবিভাবকদের কাছে এর বিচার চাইলে হারুন তাকে শায়েস্তা করার হুমকি দেয় এবং কয়েকদিন পরেই তার আত্মীয় ডলি বেগমের মাধ্যমে ফয়জুনের পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। ফয়জুনের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আসামীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরই জের ধরে গত ১লা জুন রবিবার বিকালে নবীগঞ্জ শহরেরর ইউকে আইসিটিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্রে থেকে বাড়ী ফেরার সময় কায়াস্থ গ্রাম সংলগ্ন স্থানে ফয়জুনকে একা পেয়ে একই গ্রামের হারুন মিয়া তার অপর সহযোগী ছোটন মিয়া,আলতাব উদ্দিন,ডলি বেগমের সহযোগীতায় ঝাপটে ধরে টানা হেছড়া করে ধর্ষনের চেষ্টা করে । এ সময় উল্লেখিত লোকজন তার শ্লীলতা হানি করে এবং কাছে থাকা ১ টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে ফয়জুনের শোরচিৎকারে অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় ফয়জুনকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গত ৯ জুন ফয়জুন বাদী হয়ে কায়াস্থ গ্রামের মৃত কামাল মিয়ার পুত্র হারুন মিয়া,সোনাব উল্লার পুত্র ছোটন মিয়া,সরাফত উল্লার পুত্র আলতাব উদ্দিন,আব্দুস শহিদের স্ত্রী ডলি বেগমের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা নং ৬১৯/১৪ দায়ের করলে আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেন। গত ২২ জুন রবিবার দুপুরে নবীগঞ্জ থানার এস আই সুধীন দাশ মামলাটি তদন্ত করে ফেরার পরই হারুন মিয়ার আত্মীয় ফিরোজ আলী,মস্তফা মিয়া,শাহ আলম,জাহির আলীম ছোটন মিয়া গংরা ফয়জুনের পরিবারের লোকজনের উপর পুনরায় হামলা করে। ঐদিন রাতেই শিক্ষিকা ফয়জুন বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ফলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়জুন ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের ভয়সহ মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। একের পর এক হামলা ও প্রাণনাশের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন শিক্ষিকা ফয়জুন ও তার পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগীরা নবীগঞ্জ ও হবিগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ।