সেই এএসপি’র বিরুদ্ধে শামিম ওসমানের পাল্টা অভিযোগ

ASP Boshirসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান মোবাইল ফোনে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি ট্রাফিক) মো. বশির উদ্দিনকে গালাগাল করেছেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলার সময় এএসপি মো. বশির আহমেদ নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই এ অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শামীম ওসমান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, এএসপি বশির উদ্দিন মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। সালাম চেয়ারম্যান তাতে রাজি না হওয়ায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। কেন এ ধরনের আচরণ করা হয়েছে, এ বিষয়টি আমি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। এএসপি বশির উদ্দিনকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগটি গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আলোচিত ছিল। নির্বাচন কমিশনাররা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে এ বিষয়ে বশির উদ্দিনের বক্তব্য শোনেন। টিভিতে দেখা যায়, এএসপি বশির উদ্দিন মোবাইল ফোনে শামীম ওসমানের নাম উল্লেখ করে কাউকে বলছিলেন, ‘তিনি আমাকে ইউপি চেয়ারম্যান সালামকে ভোটকেন্দ্রে অ্যাকসেস দেওয়ার জন্য বলেন। আমি রাজি না হলে আমাকে তিনি বাস্টার্ড বলে গালি দেন। তাঁকে বলি, আমি নির্বাচন কমিশনের অধীনে এখানে দায়িত্ব পালন করছি, আপনার অধীনে নয়।’ নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক ইসি সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে টিভিতে বশির উদ্দিনের এ বক্তব্য শুনে বলেন, এখন এ বিষয়ে কিছু করার নেই। ভোট গ্রহণের পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা যেতে পারে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি যদি সংসদ সদস্য হন তাঁকেও আইনের আওতায় আনা হবে। দুজন বিচারকের নেতৃত্বে আমাদের ইলেকশন ইনকোয়ারি কমিটি রয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখবে।’ এদিকে এএসপি বশির উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কেওডালা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। বাধা পেয়ে আবদুস সালাম বিষয়টি শামীম ওসমানকে জানান। পরে শামীম ওসমান বশির উদ্দিনকে ছয়বার ফোন করেন। তাঁকে গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম ওসমান গত রাতে ফোনে বলেন, ‘আমি তাঁকে হুমকি দিইনি। ওই পুলিশ কর্মকর্তা সালাম চেয়ারম্যানের কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ চান, দুর্ব্যবহার করেন। এই দুর্ব্যবহারের কথা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে তাঁকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যে কেন্দ্রের বিষয়ে অভিযোগ আনা হচ্ছে, সেই কেন্দ্রেই আমার ভাই বিপুল ভোট পেয়েছে। যেখানে জনপ্রিয়তা রয়েছে সেখানে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা কেন করা হবে?’ বিস্তারিত…» সেই এএসপি’র বিরুদ্ধে শামিম ওসমানের পাল্টা অভিযোগ