হাইকোর্টে রিট : সেনাবাহিনীর অধিগ্রহনকৃত ভুমির চেক হস্তান্তর স্থগিত রাখার দাবি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ রিট আবেদনের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিলেটের ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জন্য অধিগ্রহনকৃত ভুমির ক্ষতিপুরনের টাকার চেক হস্তান্তরের কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন সিলেট সদরের হাজিরাই মৌজা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমধরপুর ও হাতিমনগর মৌজার ভুমি মালিকরা। গতকাল সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে তারা এ দাবি জানান। স্মারকলিপিতে তারা দাবি করেন, জেএল কেইছ নং-১/২০১৩-১৪ ইং নবগঠিত ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জন্য অধিগ্রহনকৃত ভুমির যথাযথ বাজারমুল্যের ভিত্তিতে ও বর্তমান স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মালিকদের ক্ষতিপুরন প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে ১০ই জুন হাইকোর্টে রিট করা হয়। যার নং-৫৬৮৯/২০১৪। রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কারন দর্শানো সহ ওই ভুমির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এবং ভুমি সচিবকে প্রধানের মাধ্যমে ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করে বর্তমান শ্রেনী ও বাজারমুল্য নির্ধারনপূর্বক দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণের টাকা প্রদান সাপেক্ষ ভুমি হস্তান্তরের নির্দেশণা প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে তারা জানান, রিট পিটিশন নং ৫৬৮৯/২০১৪ চলমান অবস্থায় বিগত ২৩ শে জুন ভুমির ক্ষতিপুরনের চেক প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, প্রকৃত মালিকরা ক্ষতিপুরনের চেক পাননি। চার জন ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে দুইজন অন্যের জমি দাবিদার হয়ে চেক গ্রহন করেন। আর এতে করে ভুমির প্রকৃত মালিকদের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে। স্মারকলিপিতে সাক্ষর করেন, বাঘা ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ, রুপসী বাংলা পরিচালক এমএ মান্নান, সিদ্দিকুর রহমান শায়েস্তা, শাহ ডেভোলপারের পরিচালক সৈয়দ হাসিন আহমদ মিন্টু, সুরমা ভ্যালীর এমডি খলিলুর রহমান চৌধুরী সুজন, হাজী আজমল আলী, ফজলুল করিম মাসুম, মুহিব আহমদ মেম্বার, এসএম ইকবাল হোসেন পীর, রাহুল সরকার সহ এলাকার অর্ধশতধিক মানুষ। স্মারকলিপিতে তারা আরও বলেন, ভুমির বর্তমান রের্কডিয় মালিকদের ভুমির মালিক ও দখলকার হিসেবে নোটিশ করা হয়নি। ৭ ধারার নোটিশের জন্য বহুবার আবেদন জানালেও কোনো কাজ হয়নি।