সিলেটে ৮ বছরের শিশুকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ : ২ লম্পটসহ গ্রেফতার ৪
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ গোয়াইনঘাটের ৮ বছরের এক শিশুকে ফুঁসলিয়ে টানা দুদিন হোটেলে বন্দী রেখে ধর্ষণ করেছে হুমায়ুন রশীদ ও জুনেদ আহমদ নামক দুই নরপশু লম্পট। অবশেষে শুক্রবার সকালে এই দুই লম্পট, হোটেল মালিক ও ম্যানেজারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাধীন প্রতাপপুর গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির ৮ বছরের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা (ছদ্মনাম) গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বাড়ি থেকে তার খালার বাড়ি জৈন্তাপুর যাওয়ার জন্য বের হয়। কিন্তু বাস কন্ডাক্টর তাকে ভুলক্রমে সিলেট শহরে এসে নামিয়ে দেয়। এরপর প্রিয়াঙ্কা পথঘাট চিনতে না পেরে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াতে লাগে।
প্রিয়াঙ্কার দিশেহারা ভাব দেখে মোগলবাজার থানার কোচাই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে হুমায়ুন রশীদ (২৩) তাকে ফুঁসলিয়ে নগরীর রেল গেইটস্থ ‘বিরতি হোটেলে’ নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় তলায় ২২৩ নং রুমে প্রিয়াঙ্কাকে রেখে হুমায়ুন খবর দিয়ে তার বন্ধু জুনেদ আহমদকে নিয়ে আসে। জুনেদ (২৪) মোগলবাজার থানাধীন গঙ্গাবাজারের মৃত পংকি মিয়ার ছেলে।
এরপর এই দুজন মিলে প্রিয়াঙ্কাকে জোরপূর্বক টানা দুদিন ধর্ষণ করে। এতে প্রিয়াঙ্কার অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার সকালে হোটেল ম্যানেজার বিশ্বনাথ থানার তবলপুর গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে আলমগীর (১৮) দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় লম্পট জুনেদ হোটেল ছেড়ে পালায়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ বিরতি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক হুমায়ুন রশীদকে গ্রেফতার করে। এ সময় প্রিয়াঙ্কাকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেল মালিক দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ভার্থখলাস্থ স্বপ্নীল-বি এলাকার মির্জা ছোয়াব মিয়ার ছেলে মির্জা সাগীদ আহমদ ও হোটেল ম্যানেজার আলমগীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে দক্ষিণ সুরমাস্থ কদমতলীতে অভিযান চালিয়ে আরেক ধর্ষক জুনেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. মোরসালিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক ও সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষিতা শিশুটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।