নবীগঞ্জে আলোচিত মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা হেভেন হত্যা মামলার আসামীসহ গ্রেফতার ৩
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ নবীগঞ্জ থানা পুলিশ নবীগঞ্জের আলোচিত মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক আসামী জুলহাস মিয়া(২২) এবং বিভিন্ন মামলার ওয়ার্যান্ট ভুক্ত অপর ২ জনকে গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে পৃথক স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের ওইদিন সকালে কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জুলহাস পৌর এলাকার গন্ধ্যা গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানাযায়,নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে বিগত ২৪ ফের্রুয়ারী কতিপয় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে উর্পযুপুরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হন মেধাবী ছাত্রনেতা হেভেন চৌধুরী। মুর্মূষ অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরে আশংখ্যাজনক অবস্থায় হেলিকপ্টার করে ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২৮ ফের্রুয়ারী বিকাল সোয়া ৫টায় হেভেন চৌধুরী মৃত্যুর খোলে ঢলে পড়েন। এই খবর এলাকায় পৌছলে গোটা নবীগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে আসে। উত্তেজনা দেখাদেয় হেভেন চৌধুরীর এলাকা নয় মৌজায়। পরদিন কপিন নিয়ে পুলিশ প্রহরায় স্মরনকালের বিশাল প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্টিত হয় নবীগঞ্জ শহরে। পরে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ঘাতকদের গ্রেফতার ও ফাসিঁ দাবী করেন এলাকাবাসী। এদিকে ঘটনার সাথে সাথে মামলার প্রধান আসামী হাবিবসহ ঘাতকরা পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৭ জনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করেন। গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকোস দল প্রধান আসামী হাবিবকে ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করেন। ইতিপুর্বে মামলাটি সিআইডি হবিগঞ্জ জোনে মামলাটি স্থানান্তরিত হলে সিআইডি হবিগঞ্জ জোনের ইনর্চাজ সাজিদুর রহমানকে তদন্তভার দেয়া হয়। তিনি নবীগঞ্জ থানায় আসামীদের ব্যাপারে অনুসন্ধ্যান স্লিপ প্রেরন করেন। সেই আলোকে থানার এসআই মিজানুর রহমান ও এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের কদ্দুছ মিয়ার বাড়ি থেকে জুলহাস মিয়া (২২)কে গ্রেফতার করেন।
অপর দিকে পুলিশ একই রাতে ওয়ার্যান্টভুক্ত আসামী উপজেলার কুর্শি গ্রাম থেকে সফাই উল্লার ছেলে ফুলসান মিয়া (২৬)কে জিআর নং ১/১০ইং মামলায় এবং ছালামতপুর গ্রামের ছালিম উল্লার ছেলে ফরিদ আলী (৩২)কে জিআর নং ২৬৯/০৯ মামলায় চৌশতপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।