গেইট ফেলা হয় অনুমানে : জড়ো হয় দীর্ঘ যানবাহনের লাইন

মৌলভীবাজার থেকে নুরুল ইসলাম শেফুলঃ সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শমশেরনগর ও মনু রেলষ্টেশনের সাথে কোন যোগাযোগ না থাকায় অনুমানের উপর গেইট ফেলে দেয়ায় ট্রেন বিলম্বের কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় রেলক্রসিং বন্ধ থাকায় জড়ো হয় দীর্ঘ যানবাহনের লাইন। ফলে স্কুল, কলেজ, অফিসগামী ও রোগীদের অস্থিরতা দেখা দেয়। যাত্রী ও কলেজ শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগে ২৮মে বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমান ঘাটি এলাকায় রেলগেটের ক্রসিংকালে এ চিত্র দেখা যায়। জানা যায়, সিলেট-আখাউড়া রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর, লোকাল ও মালবাহি মিলিয়ে গড়ে ১৭ টি ট্রেন ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম ও আখাউড়ার সাথে যাতায়াত করছে। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় শমশেরনগর বিমানঘাটি সংলগ্ন রেলগেট অতিক্রম করে। কিন্তু ওই রেলক্রসিং এর দায়িত্বরত গেইটম্যান ১৫ মিনিট আগে গেইট বন্ধ করে দেন। এ সময়ের মধ্যে উভয়পাশে শতাধিক যানবাহনের লাইন তৈরি হয়। দুর্ভোগে পড়েন হাজারো যাত্রী। কলেজ ছাত্র সোহাদ, শাম্মী আক্তার, এম.এ হামিদ অভিযোগ করে বলেন, এভাবে প্রতিদিন গেইট ফেলে দেয়ায় স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। যথা সময়ে স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছা সম্ভব হয় না। এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় গেইটম্যানের সাথেও প্রতিদিন দফায় দফায় বিভিন্ন লোকের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। দায়িত্বরত গেইটম্যান মো. ছলিম মিয়া বলেন, ‘ভাই আমি ট্রেনের যথা সময়ে গেইট বন্ধ করি। কিন্তু কোন কোন সময়ে ট্রেনের কিছু বিলম্ব হলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, রেলষ্টেশনের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই। ফলে ট্রেনের সিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে গেইট বন্ধ করি।’ গেইটম্যান আরও বলেন, মোবাইল ফোনে ট্রেনের আসা যাওয়ার খবরাখবর জানানোর জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে ষ্টেশনমাষ্টারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে শমশেরনগর রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার মো. আব্দুল আজিজ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসলে ওই গেইটম্যানের সাথে তাদের নিয়মিত কোন যোগাযোগ হয় না। তবে গেইটম্যানের সাথে একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ জানানোর ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে উর্ধ্বতন মহলের সাথে কথা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।