সন্দেহের তীর এবার শামীম ওসমানের দিকে
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের পর প্যানেল মেয়র নিহত নজরুল ইসলামের পরিবারসহ অন্যরা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের সুরে কথা বললেও সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। নজরুলের পরিবার এখন পরোক্ষভাবে দোষারোপ করছেন শামীম ওসমানকে।
তাদের অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের পর নূর হোসেনের সঙ্গে শামীম ওসমানের টেলি কথোপকথনই প্রমাণ করে তাদের মধ্যে সখ্যতা ছিল। আর ভারতে পালিয়ে যেতে নূর হোসেনকে সহায়তা করেছে এ অভিযোগ এখন অনেকটাই প্রতীয়মান। এ কারণে তাকেও দোষের তীরের বাইরে রাখা যাবে না।
এরই মধ্যে গত শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নজরুলের বাসায় নিহত পাঁচ পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার সামনেই শামীম ওসমানের গ্রেপ্তার চেয়ে মিছিলে স্লোগান দেন নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। যদিও এর আগে সেদিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডে শামীম ওসমানের সামনে শহীদুল দাবি করেছিলেন, নূর হোসেনকে ফোনে আলাপ করে তাকে আত্মসমর্পণ কিংবা ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন শামীম ওসমান।
এদিকে নজরুলসহ ৭ খুনের পর থেকে নজরুল পরিবারের পক্ষে কথা বলে আসছিলেন নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। তাছাড়া এরই মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জে পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করে দেয়া, শহীদুলের ছেলের বিরুদ্ধে থানায় জিডির ঘটনা নিয়ে পরিবারে রয়েছে বিরোধ।
এ অবস্থায় সোমবার বিকেলে মোবাইল ফোনে নজরুলের ভাই আবদুস সালাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘নূর হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে শামীম ওসমান স্পষ্ট করে বলেছেন, ভিসা আছে কী না। এতেই অনেকটা স্পষ্ট হয় যে নূর হোসেনকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিল শামীম ওসমান।’
সালাম বলেন, ‘সাত খুনের পরেও নূর হোসেনকে নিরপারাধ তথা “আমি জানি তুমি কোনো অপরাধ করোনি” বলেছেন শামীম ওসমান। সাত খুন যদি অপরাধ না হয় তাহলে কোনটা অপরাধ সেটা ভাবতে হবে।’
এদিকে গত শুক্রবার শামীম ওসমানের সঙ্গে নূর হোসেনের ফোনালাপের অডিও টেপ প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেদিন শামীম ওসমান এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, নূর হোসেনকে তিনি কথা বলে আত্মসমর্পণের দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন।