সরেজমিন শাল্লা হাসপাতাল : চিকিৎসা না পেয়ে রোগীদের পরিত্যাগ
বিপ্লব রায়, শাল্লা প্রতিনিধিঃ হাসপাতালের বর্হিবিভাগের টিকিট পেতে এবং চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা জনদুর্ভোগে পড়েছে। টিকিট হাতে অনেক রোগীরা চিকিৎসকের কক্ষের সামনে দাড়িয়ে থাকে। তবুও চিকিৎসকেরা কেউই নিজ কক্ষে থাকেন না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে রোগীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতাল পরিত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। প্রায় সময় হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও জরুরী বিভাগের কক্ষে তালা ঝুলানো থাকে বলে এলাকাবসী অভিযোগ করেছেন। চিকিৎসা না পেয়ে রোগীদের ক্ষোভের এ বহিঃপ্রকাশ ঘটে শাল্লা সদর হাসপাতালে। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়,চিকিৎসা নিতে এখানে গড়ে প্রতিদিন ১৩০ রোগী আসে। ডাক্তারদের অনুপন্থিতির কারনে অধিকাংশ দিন শতাধিক রোগীকে চিাকৎসা না নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ডাক্তারের পরিবর্তে নার্সকে বসিয়ে কোনো রকম কাজ চালাচ্ছেন। সাড়ে ১১ টায় গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পরিবর্তে বাসায় রোগী দেখেন ডাক্তার হেলাল উদ্দিন। শুধু তাই নয়, অভিযোগে আরও উল্লেখ করা আছে, ডাক্তার হেলাল উদ্দিন বলেছেন শুধু মাসিক বেতন ১১ হাজার টাকা দিয়ে চলবে কি করে? তাই আমাদের পেটের চিন্তা করে বাসায় রোগী দেখি। আর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে না বসে বেতন পেলে বসবো কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কে শোনে কার কথা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুখলাল সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ডাঃ হেলাল উদ্দিনের অসাধারন আচরনে লজ্জাবোধ হচ্ছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালের আর এম অ এর দায়িত্ব পালনে কর্মরত আছেন। হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর ও যাবতীয় কাজের দেখাশোনার দায়িত্ব তার। তিনি তার কোনো দায়িত্ব পালন করছেন না। টাকার লোভে তিনি হাসপাতালে না বসে বাসায় বসেরোগী দেখেন। ডাঃ হেলাল উদ্দিনের বিষয়ে আমার কাছে অনেক অভিযোগ আছে। আর এলাকাবাসী যে অভিযোগ করেছেন অভিযোগটি সত্যি বলে আমি মেনে নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ডাঃ হেলাল উদ্দিনের করনে হাসপাতালের পরিস্থিতি খুবই খারাপ অবস্থায় পরিনত হয়েছে। হাসপাতালের পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য তার সাথে কথা বলব। যদি সে তার পরিস্থিতি পরিবর্তন না করে তাহলে আমি সিভিল সার্জনকে জানাতে বাধ্য হব বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়রেছন।