টুল প্লাজাগুলোতে সিসি ক্যামেরা নেই : বাড়ছে অপহরণ গুম নিখোঁজের ঘটনা
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথ: প্রায় সবকটি টুল প্লাজায় সিসি ক্যামেরা ছিল। বর্তমানে সিসি ক্যামেরা ছাড়াই চলছে টুল প্লাজাগুলো। ক্যামেরা থাকলে ধরা পড়ত অবৈধ গাড়িগুলো। কোন ঘটনা, দূর্ঘটনা ঘটলে সহজে পাওয়া যেত ঘটনার সঠিক তথ্য। আকস্মিকভাবে টুল প্লাজাগুলো থেকে সিসি ক্যামেরা উঠানো হয়েছে। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে অপহরণ, গুম ও নিখোঁজের ঘটনা। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর, আউশকান্দি, ভৈরব, এছাড়া শাহপরাণ বাইপাস ও ফেঞ্চুগঞ্চসহ প্রায় টুল প্লাজায় সিসি ক্যামেরা নেই বলে জানাগেছে।
টুল প্লাজা থেকে সিসি ক্যামেরা উঠানো প্রসঙ্গে সচেতন মহল মনে করছেন অপহরণ, গুম, নিখোঁজ বাড়ছে সিসি ক্যামেরা না থাকায়। নিন্দুকেরা বলে থাকে কিলারদের সঙ্গে টুল প্লাজা কর্তৃপক্ষের যোগসাজস রয়েছে যার কারণে তারা হঠাৎ করে সিসি ক্যামেরা তুলে নিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ৪ মে বিকেল ৪টায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী, বৃটিশ নাগরিক সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব (৫৬) ও তাঁর গাড়ি চালক রেজাউল হক (৩২)। একই তারিখে রাত সাড়ে ১০ টায় হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন ফেয়ার কম্পিউটার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ম্যানেজার এস.এম. জাহিদুল ইসলাম সজিব (২৭)। এখন পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। ৬ মে দুপুর থেকে বিশ্বনাথের নতুনবাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী ফয়জুল ইসলাম খান (৫৫) ‘নিখোঁজ’ হন ওই দিন রাত ৯টায় সিলেটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হোসেন জানান, এটি অপহরণ বা আত্মহরন যাই হোক না কেন। জেলার পুলিশ সুপার নূরেআলম মিনা পিপিএম এর সবোর্চ্চ তৎপরতায় ও নেতৃত্বের কারনেই ৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ফার্নিচার ব্যবসায়ী ফয়জুর ইসলাম খান কে সিলেটের একটি ক্লিনিক থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জুবের আহমেদ বলেন, সাদিপুর, শাহপরাণ বাইপাস ও ফেঞ্চুগঞ্জ টুল প্লাজায় সিসি ক্যামেরা নেই। ফলে অপরাধীরা সহজে অপরাধ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নজরে আনার জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার কে অবহিত করা হয়েছে। তারপরও টুল কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা না বসিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ পুলিশ সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, সিসি ক্যামেরা টুল প্লাজায় থাকলে গাড়িগুলোর রেকর্ড থাকে। অপরাধী ধরতে সহজ হয়। কিন্তু এখনও প্রায় টুল প্লাজা সিসি ক্যামেরা ছাড়াই চলছে।