বিশ্বনাথে অপহৃত ব্যবসায়ী জিন্দাবাজর থেকে উদ্ধার
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে অপহৃত ফার্নিচার ব্যবসায়ী ফয়জুল খানকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ইউনাইটেড পলি ক্লিনিক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত পৌনে ৯টায় তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা।
পুলিশ সুপার রাত ৯টায় জানান, ‘অজ্ঞাত মোবাইল ফোন নম্বার থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী ফয়জুল খানকে জিন্দাবাজারের ইউনাইটেড পলি ক্লিনিক’র সামনে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। এরই সূত্রধরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকালে ব্যবসায়ী ফয়জুল খানকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দেখা গেলে শরীরে কোনো আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি।’
বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত মহি খানে ছেলে ফয়জুল খান মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন।
উপজেলা সদরের বিশ্বনাথ-রামপাশা রোডের ঠাকুর মার্কেটে ফয়জুল খান ফার্নিচার মার্ট নামের দোকান ঘর রয়েছে। দীর্ঘদি ধরে তিনি ওই মাকের্টে ব্যবসা করে আসছেন বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় ‘অপহৃত’ ফয়জুল খানের ছেলে জয়নুল খান বাদি হয়ে বুধবার সকালে বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেণ। যার নং ২৪৪। -অপহরণকারীরা’ ফয়জুল খানের মুক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
‘অপহৃত’ ফয়জুল খানের ছেলে জয়নুল খান বাদি হয়ে গতকাল বুধবার থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেণ। যার নং ২৪৪।- অপহরণকারীরা’ ফয়জুল খানের মুক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।এ ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ সবার মধ্যে আতংক ও ক্ষোভ রিবাজ করছে।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের ঠাকুর মার্কেটে ব্যবসা করে আসছেন। অপহৃত ব্যবসায়ীর ছেলে জয়নুল খান জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার পিতা ফয়জুল খান যান। ওইদিন বেলা আড়াইটায় উপজেলার বাগিছাবাজারে যাচ্ছেন বলে দোকান থেকে বের হন। কিন্তু তিনি সন্ধার পরও দোকানে না আসার ফলে রাত ৮টায় তার পিতার মোবাইল ফোনে ফোন করেন। এসময় তার পিতা তাকে দোকান থাকার কথা বলেন। এর কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করলে পিতার ফোন বন্ধ পান। বুধবার ভোর রাত ৪টা ১৯ মিনিটে পিতা ফয়জুল খানের মোবাইল নম্বর (০১৭১৮৩১৬৮৯২) থেকে মোবাইল ফোনে (০১৭১৭৯৩০৮২২) ফোন আসে। কিন্তু সকল কথা ফোনে বুঝা যায়নি। তবে শেষের দিকে কিছু কথা বুঝা যায়। এতে তিনি টাকা দিলে তাকে ফিরত পাব বলে জানান। তবে কত টাকা দিতে হবে এ বিষয়ে তিনি কিছু না বলে ফোন কেটে যায়। এরপর অনেক বার পিতার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জয়নুল খান বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় ‘অপহৃত’ পিতা ফয়জুল খানের মোবাইল নম্বর থেকে তার খালার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। এসময় ‘অপহরণকারীরা’ ফয়জুল খানের মুক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে তিনি জানান। ফয়জুল খানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না রাখলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে ‘অপহরণকারীরা।
জিডির সত্যতা স্বীকার করে থানার এসআই ফজলে রাব্বি সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যা করার আছে, তার সবই করবে পুলিশ।